রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনলাল-সবুজের বহুমাত্রিক ব্যবহারে নতুন সাজে সেজেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম

লাল-সবুজের বহুমাত্রিক ব্যবহারে নতুন সাজে সেজেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম

লাল-সবুজের বহুমাত্রিক ব্যবহারে নতুন সাজে সেজেছে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। শুধু কি সাজ, শিশু-কিশোরদের বর্ণাঢ্য ডিসপ্লেতেও ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে জাতীয় পতাকা। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে নারী এমনকি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিধানেও ছিল লাল-সবুজের আধিক্য। সোনালি রোদ্দুরে মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ তো ছিলই। ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে দেখা যায় নানা আয়োজন।  অনুষ্ঠানে সালাম গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই স্বাধীনতা কারও দান বা দয়ায় অর্জিত নয়। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে আমাদের এ‌ই মহান স্বাধীনতা। এ স্বাধীনতা অর্জনের পথে রক্তে রঞ্জিত হয়েছে সবুজ ফসলের মাঠ, প্রগাঢ় শ্যামল প্রান্তর।

তিনি বলেন, একাত্তরের পঁচিশে মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’র নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুর করলে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু তার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবন থেকে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা মোতাবেক নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বীর বাঙালি একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে নেয়। জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক ধারা সমুন্নত রাখার সুমহান দায়িত্ব নিয়ে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, চট্টগ্রাম দেশের সমৃদ্ধির দুয়ার। বাংলাদেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত চট্টগ্রামের উন্নয়নে এ সরকার নিয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। স্বাধীনতার সুফল বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম বিভাগ সর্বদাই অগ্রগামী। স্বাধীনতা অর্জনে এই চট্টগ্রাম বিভাগের গৌরবময় ইতিহাস।

সালাম গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আকতার ও নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার একেএম শহীদুর রহমান। প্যারেড অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। বাদ্যের তালে তালে মার্চপাস্টে অংশ নিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ছোটমণি নিবাসের ৭ বছরের কম বয়সী অনাথ শিশুরাও। ছিল কলেজিয়েট স্কুল, মুসলিম হাইস্কুল, খাস্তগীর স্কুল, প্রবর্তক স্কুল, মিউনিসিপ্যাল মডেল, বাকলিয়া আদর্শ বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সিটি সরকারি বালিকা স্কুল, চট্টগ্রাম পুলিশ ইনস্টিটিউশন, রেলওয়ে পাবলিক, জেএম সেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মির্জা আহমেদ ইস্পাহানি স্কুল, হাতেখড়ি, বাগমণিরাম, ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল, ওয়াপদা কলোনি স্কুল, ফুলকুঁড়ি, সরকারি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, বন গবেষণাগারসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এবার প্যারেড অধিনায়ক ছিলেন নবায়ন দেওয়ান। উপ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন আবদুল মান্নান। সালাম গ্রহণ পর্ব শেষে শুরু হয় ডিসপ্লে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সরকারি শিশু পরিবার, রংধনু কালচারাল একাডেমিসহ এক ডজনের বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন পরিবেশন করে মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ