রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনরাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার দাবিতে ২৫ মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার দাবিতে ২৫ মার্চ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রক্ষার দাবিতে ২৫ মার্চ জুমার নামাজের পর সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ওই দিন চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের উত্তর গেট চত্বরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কর্মসূচি ঘোষণা দেন হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এ উপমহাদেশে তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষতা ‘মুখ ও মুখোশের’ অধিক কিছু হয়ে উঠতে পারেনি। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ ও সমাজতন্ত্রের কোনো উল্লেখ ছিল না।

তিনি বলেন, আগামী ২৭ মার্চ মহামান্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় থাকা রাষ্ট্রধর্ম বিষয়ক রিটটি যেন জনস্বার্থে ও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি ও চেতনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে খারিজ করে দেওয়া হয়। এটা নিয়ে যেন কাউকে পানি ঘোলা করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের সুযোগ করে দেওয়া না হয়। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখনো নগর পুলিশের কাছে বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির জন্যে আবেদন করিনি। শিগগির তা করা হবে।

আদালতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে জুনাইদ বাবুনগরী বলেন, হাদিস শরিফে আছে যে মুসলমান নিরীহ সংখ্যালঘুদের ওপর জুলুম করবে সে জান্নাতের সুগন্ধিও পাবে না। তাই ৯২ ভাগ মুসলিম নাগরিকের এদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকতে বাধা কোথায়? ইসলাম শান্তির ধর্ম। এ শান্তি শুধু মুসলিমের জন্যে নয়, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার জন্য। এ শান্তি সব জাতির জন্য। সরকারের প্রতি আবেদন জানাবো, ইসলাম বিদ্বেষীদের ফাঁদে পা দেবেন না। ১৯৮৮ সালসহ বিভিন্ন সময় এ ধরনের রিট করা হলেও আদালত খারিজ করে দিয়েছেন। আমাদের মনের ব্যথা হচ্ছে এবার শুনানির জন্যে গ্রহণ করলো কেন। মাননীয় আদালতকে জনগণের ভাষা বুঝতে হবে। তিনি বলেন, আল্লাহ না করুক, যদি আদালতের রায়ে রাষ্ট্রধর্ম কেটে দেওয়া হয় তাহলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ছারখার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আদালতের রায় পক্ষে-বিপক্ষে যেতে পারে। বিপক্ষে গেলে শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা হতে পারে। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি সংবিধান দেখিয়ে বলেন, এ সংবিধান বলেছে জনগণ সুপরামর্শ দিতে পারবে। তাই আমরা সুপরামর্শ দিচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী, সহ অর্থ সম্পাদক মাওলানা ইছহাক মেহেরী, আ ন ম আহমদ উল্লাহ, মোহাম্মেল হক, মুনির আহমদ, লোকমান হাকিম, ইয়াছিন, রফিকুল ইসলাম, ইবাল খলিল, জুনাইদ জওহর, রহমত উল্লাহ, জয়নাল আবেদিন কুতুবী, কারি জাহাঙ্গীর প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৭ মার্চ হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার পর দেশের শীর্ষ ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে পরামর্শ করে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ