শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার রায় ৮ মার্চ

মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার রায় ৮ মার্চ

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার রায় দেওয়া হবে আগামী ৮ মার্চ। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি রায়ের এ দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে ৭ কার্যদিবসে এ শুনানি শেষ হলো। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

সর্বোচ্চ আদালত প্রথমে ২ মার্চ রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন। তবে প্রধান বিচারপতি সেদিন ঢাকায় থাকবেন না, তাই দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে রায়ের দিন পুনর্নির্ধারণের কথা জানান আদালত। বুধবার মীর কাসেমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রাষ্ট্রপক্ষের পরে জবাবে আসামিপক্ষে সমাপনী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন মীর কাসেমের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এর মধ্য দিয়ে আপিল মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম শেষ হওয়ায় রায় প্রদানের দিন ধার্য করেন সর্বোচ্চ আদালত।

গত ০৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় আপিল মামলাটির শুনানি। ওইদিন এবং পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায় এবং সাক্ষীদের অভিযোগভিত্তিক সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন শেষে আসামিপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন মীর কাসেমের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন তিনি। আর রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল শুরু করেন ২৩ ফেব্রুয়ারি। মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগ আনা হয়েছিলো। এর মধ্যে ১০টিতে জামায়াতের এ নেতা দোষী সাব্যস্ত হন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ০২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে  ওই বছরের ৩০ নভেম্বর মীর কাসেম আলী আপিল করেন। মীর কাসেম তার দেড়শ’ পৃষ্ঠার মূল আপিলসহ ১ হাজার ৭৫০ পৃষ্ঠার আপিলে মোট ১৬৮টি কারণ দেখিয়ে ফাঁসির আদেশ বাতিল করে খালাস চেয়েছেন।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ