আদালত প্রতিনিধিঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আনা মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগই প্রমাণিত হয়েছে। অভিযোগ পাঁচটি হলো ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা, উসকানি, সংশ্লিষ্টতা এবং হত্যা ও নির্যাতন।
অভিযোগের সঙ্গে অপরাধের দায়দায়িত্ব হিসেবে আনা হয়েছে ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়।
বিচাপরপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায় পড়ার সময় বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তবে তার শাস্তির বিষয়ে এখনো আদেশ দেননি ট্রাইব্যুনাল।
বেলা ১১টা দুই মিনিটে পূর্ণাঙ্গ রায় ২৪৩ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত রায় (৭৫ পৃষ্ঠা) পড়া শুরু করেন বিচারপতি আনোয়ারুল হক। বর্তমানে রায় পড়ছেন অপর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে বিচারপতিরা এজলাসে আসেন। এর পাঁচ মিনিট আগে গোলাম আযমকে আসামির কাঠগড়ায় নেওয়া হয়।
সকাল ১০টা চার মিনিটে তাঁকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি মাইক্রোবাসে করে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের কারাকক্ষে আটক ছিলেন।
রায় পড়ার শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলে কবীর। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে গোলাম আযম ব্যাপক পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। তিনি ওই সময় পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির এবং কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির একজন প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হলো ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় (সুপিয়র রেসপনসিবিলিটি)।
গোলাম আযমের মামলাটি অন্য মামলা থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, অন্যান্য মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এ মামলায় তিনি এসব অভিযোগে সরাসরি জড়িত না থাকলেও একটি বাহিনীর প্রধান হিসেবে এসব দায় তাঁর ওপর বর্তায়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো বাহিনীর প্রধান সেই বাহিনীর কোনো অপরাধ দমন করতে ব্যর্থ হন এবং এর জন্য শাস্তিও না দিয়ে থাকেন, তাহলে সেই বাহিনীর প্রধানের ওপর সমস্ত দায় বর্তায়। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ সেই অভিযোগই নিয়ে এসেছে। – See more at: