রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনসাত বছরে চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি

সাত বছরে চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার নির্মাণসহ যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি

কর্ণফুলী নদীর দুইপাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তুলতেই কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর থেকে চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাত বছরে চট্টগ্রামে নতুন নতুন সড়ক ও ফ্লাইওভার নির্মাণসহ যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। চট্টগ্রাম শহরকে সম্প্রসারিত করতেই এই টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি নির্মাণের জন্য নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলন করেছিলেন। শনিবার বিকেলে নগরীর আগ্রাবাদে দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন ও চট্টগ্রাম চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।  চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বেড়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর ২০ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে। বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়াতে চাই। তাই বন্দরকে সম্প্রসারণ করতে ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ বে-টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৪ লেনের কাজ শেষ হয়েছে। প্রয়োজনে ৮ লেন করার মতো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গোমতী ও সীতকক্ষ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। রেলে ডাবল লাইন হয়েছে।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে তিনি বলেন, পৃথিবীর সম্ভাবনাময় দুটি অর্থনৈতিক জোট সার্ক ও আশিয়ানের সংযোগস্থল চট্টগ্রাম। তাই আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্প্রসারণে এ শহরের গুরুত্ব অনেক বেশি। চট্টগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শত শত বছরের ঐতিহ্যের অধিকারী। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বণিকরা এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বেড়েছে। দেশের একমাত্র বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র দেশের প্রাচীন বাণিজ্যনগরীতে নির্মিত হওয়াতে চট্টগ্রামবাসী গর্ব অনুভব করবেন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানকার প্রকল্প বাস্তবায়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করেছি। পাঁচ তারকা মানের হোটেল নির্মাণ হয়েছে। এতে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আরো বেশি প্রাণ ফিরে পাবে। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এমএম লতিফ বক্তব্য রাখেন।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ