আগুনে দগ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লাইলী বেগম (২৯) নামের সেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বাংলাবাজার এলাকায় এ গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছিল। আগুনে লাইলী বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে যায়।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন এ গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকার ড্রিমলাইন নামের একটি বাসার সামনে লাইলীর শরীরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় এ গৃহবধূকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। আগুনে তার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে মৃত্যু হয় তার।
তিনি বলেন, ‘আহতের বাবা মোহাম্মদ কফিল আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, লাইলী আগের স্বামীকে ছেড়ে দুই মাস আগে ইউসুফ শেখকে বিয়ে করে। লাইলী বেগমের আগের ঘরে দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ে করলেও ইউসুফ শেখের পরিবার লাইলীকে মেনে নিচ্ছিল না। প্রায় সময়ই ইউসুফ শেখের পরিবারের সদস্যরা তাদের গালিগালাজ করে যাচ্ছিল। সর্বশেষ বুধবার হত্যার উদ্দেশ্যে ইউসুফ শেখ লাইলীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ইউসুফ শেখকে আটক করেছে বায়েজিদ থানা পুলিশ।