সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিসোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

সোহরাওয়ার্দীর জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৩তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে দোয়েল চত্ত্বরের কাছে তার মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি ও ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এ সময় বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।মঙ্গলবার সকাল সোয়া দশটার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংগঠন দু’টির আয়োজনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। বক্তব্য রাখেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক,  গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক এম এ করিম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, সোহরাওয়ার্দী হলেন উপমহাদেশের সর্বপ্রথম ব্যক্তি, যিনি সিভিল আইন বিষয়ে সর্বপ্রথম ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এ ডিগ্রি অর্জন করে তিনি বসে থাকেননি, মানুষের ‍ অধিকার আদায়ে ফিরে আসেন। এসে পাকিস্তান আন্দোলনসহ এ অঞ্চলের মানুষের ‍ অধিকার আদায়ে কাজ শুরু করেন। লেবাননের বৈরুতে তিনি যখন মারা যান তখনও এদেশের মানুষের কথা চিন্তা করেন। রেসকোর্স ময়দানের তার জানাজায় লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন।

অতিথির বক্তব্যে ঢাবি উপাচার্য বলেন, তার (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী) পাশে থেকে সব ধরনের সাহায্য, সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন তরুণ ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান। অনেক বড় নেতা হয়েও সোহরাওয়ার্দী শেখ মুজিবের পরামর্শ গ্রহণ করেছিলেন। সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সম্পর্ক শেষদিন পর্যন্ত অটুট ছিল। সোহরাওয়ার্দীকে অসাম্প্রদায়িক নেতা আখ্যা দিয়ে তিনি আরো বলেন, তার চিন্তা থেকে আমাদের গণতন্ত্রের শিক্ষা, অধিকারের শিক্ষা নিতে হবে।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান তিনি। ১৯১৩ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া এখানে তিনি আইন বিষয়েও পড়াশোনা করেন এবং বিসিএল ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে গ্রেস ইন থেকে বার এট ল ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

১৯৪৭ সালের ৯ এপ্রিল তিনি অখণ্ড সার্বভৌম বাংলার প্রস্তাব করেন। সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য তিনি নিবেদিতপ্রাণ একজন মানুষ ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী, আবুল কাশেম ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর গঠন করা যুক্তফ্রন্ট অভূতপূর্ব জয় পায়। ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ থেকে ১১ অক্টোবর ১৯৫৭ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালে চৌধুরী মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পর তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। স্বাস্থ্যগত কারণে ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বর মাসে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থান করার সময় মারা যান তিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ