মঙ্গলবার, মে ১৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন করে পিপিপি বিল-২০১৫ সংসদে পাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন করে পিপিপি বিল-২০১৫ সংসদে পাস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন করে ‘সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) বিল-২০১৫ সংসদে পাস হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীকে এ বডির চেয়ারপারসন করা হয়। সোমবার রাতে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিলটি পাসের আগে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, এম এ হান্নান, ওমর ফারুক চৌধুরী, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. রুস্তম আলী , হাজী মো. সেলিম এর বিরোধীতা করে নোটিশ দেন। পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে দিলে তা নাকচ হয়ে যায়। এরপর বিলটি সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। এর আগে গত ২৩ আগষ্ট  আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটি চূড়ান্ত করা হয়। এবিলটি গত ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

সংসদীয় কমিটি বিলটি পরীক্ষা করতে একটি উপ-কমিটি গঠন করেন। উপ-কমিটি দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, বৃটেন, ফিলিপাইনের এ সংক্রান্ত আইন পর্যালেচনা করতে দেশগুলি সফর করে বিল চূড়ান্ত করে। বিলটি পাসের আগে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আরও তরান্বিত করতেই এই বিলটি আনা হয়েছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কার্যলায়ের অধীনেই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে তাই প্রধানমন্ত্রীকে গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিলটি পাস হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বিনিয়োগকারীরা আস্থা পাবে।

বিলটি পাস হলে যে কেউ কোনো প্রজেক্টে বিনিয়োগ করতে পারবে। আবার সময়মতো মুনাফা তুলে নিতে পারবে। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারী অর্থ তুলেও নিতে পারবে। তবে ওইসব প্রকল্পেই বিনিয়োগ করতে পারবে যেসব প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়া হবে। যখন যে মন্ত্রণালয়ের কাজ হবে তখন ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পরিচালনা কমিটির সদস্য হবেন। প্রধানমন্ত্রী হবেন গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারপারসরন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে,  বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য পলিসি অ্যান্ড স্টাটেজি ফর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ২০১০ প্রণয়ন করা হয়। পিপিপি’র উদ্যোগে বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে ৪২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও তাদের জীবন মান উন্নয়নের স্বার্থে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং বিভিন্ন খাতের অবকাঠামো নির্মাণসহ সেবাখাতে ব্যাপক বিনিয়োগ নিশ্চিতকল্পে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অংশগ্রণ নিশ্চিত করা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সৃষ্টির আইন কাঠামো প্রদান করতেই এ বিল। পিপিপি কার্যক্রমের পর্যালোচনা, তত্ত্বাবধান, প্রকল্পের অগ্রগতিসহ সার্বিক বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড অব গভর্নরস থাকবে। অর্থমন্ত্রী এই বোর্ডের সহ-সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব এর সদস্য সচিব হবেন।

বিলে বলা আছে, পিপিপি প্রকল্পে বেসরকারি বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের অর্থ বিভাগ, মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে, সরকারি গেজেটে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা প্রণোদনা ঘোষণা করতে পারবে। বিলে আরও বলা হয়েছে, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার বা জনসাধারণের বড় ধরনের কোনও দুর্ভোগ দ্রুত নিরসনের প্রয়োজনে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে যে কোন প্রকল্পকে ‘জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প’ ঘোষণা করতে পারবে। এছাড়া পিপিপি প্রকল্পে কোনো বিরোধ দেখা দিলে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে তা নিষ্পত্তির বিধান রাখা হয়েছে।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ