সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিজিয়াসহ আরও কে কে বঙ্গবন্ধু হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা জাতির...

জিয়াসহ আরও কে কে বঙ্গবন্ধু হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা জাতির সামনে পরিস্কার হওয়া দরকার

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানসহ আরও কে কে কিভাবে জড়িত ছিলেন তা জাতির সামনে পরিস্কার হওয়া দরকার বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।  বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমানের মরনোত্তর বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ, ন্যাপ ভাসানী ও কাজী আরেফ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহর বক্তব্যের মাধ্যমে উঠে এসেছে। সেই সব বক্তব্য এখনো ফেইসবুকে আছে। জেনারেল শফিউল্লাহ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্য শফিউল্লাহ, তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারেননি, সেই ব্যর্থতার দায় তাকেও নিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি এই ব্যর্থতার দায়ও স্বীকার করেছেন।

জেনারেল শফিউল্লাহকে ওইসব বক্তব্য আরও বেশি করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানসহ আরও কে কে কিভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তা জাতির সামনে পরিস্কার হওয়া দরকার। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হবে, অনেকেই মনে করেছিলেন তা মাঠের স্লোগান। আজ আমি জাতির সামনে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও সরকারি দলের এমপি হিসেবে অঙ্গীকার করতে চাই, জাতির দাবির সঙ্গে আমরা একাত্ম। ইনশাল্লাহ এই বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ১৫ আগস্ট শোক দিবসে খালেদা জিয়া কেক কাটেন, আনন্দ উৎসব করেন। ১৫ আগস্ট না হলে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন না। সেই জন্য তিনি ১৫ আগস্ট কেক কাটেন।  তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, ঐক্যর রাজনীতি চাই। যিনি নিজের জন্মের তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কাটেন, খেটে খাওয়া মানুষদের উপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করেন, তিনি বললেন প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়! কিন্তু আমি বলি তার সকল কাজ-কর্মেই প্রতিহিংসা।

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন, শুধু তিনিই নন, তার পরিবার এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর রক্তের পেছনে লেগে আছে। বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনিরা এখনও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন, তাদেরকে দেশে পিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হবে। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুল আলম সাজু, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদ ভাসানী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ