নাহিদ উল আলম চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রকে আজীবন বহিষ্কারের দাবি করায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সমাজতত্ত্ব দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাছুমকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিতে টানা পাঁচ দিনের মতো শনিবারও আন্দোলনে নামেন ছাত্রীরা। দুপুর ১২টার দিকে তিন ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেন।
এ সময় ছাত্রীরা ছয় দফার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ছাত্রী নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মী মাসুমের আজীবন বহিষ্কারও দাবি করেন। এই দাবি করা ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন কর্মী তাঁদের ওপর হামলা চালান। ছাত্রলীগের কর্মীরা ছত্রভঙ্গ করে দেন যৌন নিপড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের। ছাত্রলীগের হামলায় শামিমা ইয়াসমিনসহ আহত হন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি উবা থোয়াই মারমা ও রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সজীব।
তবে হামলার কথা অস্বীকার করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাব্বির আহমেদ চৌধুরী। এদিকে ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে বিকেল পাঁচটার দিকে ছাত্রলীগের কর্মী মাসুমের সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বলবৎ রেখে ঘটনা তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় ছাত্র উপদেষ্টা খান তৌহিদ ওসমানকে। কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন উপাচার্য।
অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র ফজলে মাওলার পরিবারের একজনকে যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বিবেচনা করবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ‘আমরা সব ছাত্রসংগঠন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ও নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নিয়েছি।
