শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়কৃষিঋণ বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ি

কৃষিঋণ বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ি

বিনিয়োগে মন্দাভাব ঠেকাতে একের পর এক সিদ্ধান্ত। বিশেষত কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণে এমন মন্দা আগে ছিল না। গত বছর থেকে দু’টি খাতে মন্দার ছোঁয়া লক্ষ্য করা যায়। সে থেকে শুরু হয় নীতিমালায় কড়াকড়ি ও প্রণোদনা প্রদান। এবার বেসরকারি ও বাংলাদেশে কার্যরত বিদেশী ব্যাংকের কৃষি বিতরণ নিশ্চিত করতে আরও কঠোর হলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে কোন ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য অর্জন করতে না পারলে অনার্জিত অংশের পুরোটাই বাংলাদেশ ব্যাংকে বাধ্যতামূলক জমা রাখতে হবে। আর এ অর্থের উপর কোন সুদ দেয়া হবে না। অর্থাৎ কোন ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১০০ টাকা হলে ওই ব্যাংক যদি বছর শেষে ৮০ টাকা বিতরণ করে তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ২০ টাকা বাধ্যতামূলকভাবে জমা রাখতে হবে। এর আগে অনার্জিত অংশের ৩ শতাংশ জমা রাখতে হতো। অর্থাৎ ১০০ টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ৮০ টাকা বিতরণ হলে ৬০ পয়সা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখলে চলতো। তবে কোন ব্যাংক যদি তাদের মোট ঋণের ২ দশমিক ৫ শতাংশ কৃষি ঋণ বিতরণ করতে পারতো তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এ প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতো না। কিন্তু এখন থেকে এ সুবিধাও প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার সব বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে। এ সিদ্ধান্ত চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে; যদিও এ অর্থবছরের কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ব্যাংকগুলোর জন্য ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে বেসরকারি ও বিদেশী ব্যাংকগুলোর জন্য ৬,৪১০ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করে দেয়া হয়। আর বাকি ৯,১৪০ কোটি টাকা ছিল রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ শেষে ব্যাংকগুলো ১০,২০২ কোটি ১৩ টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এটা লক্ষ্যমাত্রার ৭২ শতাংশ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ