ষ্টাফরিপোর্টার (বিডিসময়২৪ডটকম)
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মাছের উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারী সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন, গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য খাদ্য প্রস্তুতকারক, পোনা উৎপাদনকারী, মৎস্য ও চিংড়ি চাষি, খামারি, মৎস্যজীবী-জেলে, মাছের পাইকারী বাজারজাতকারী, মৎস্য পেশাজীবী, মৎস্য ও চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান এবং মৎস্য রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট সকল জনগোষ্ঠীর সমন্বয়ে কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যাপক জলজ সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা করা সরকারের একার দায়িত্ব না। তিনি আজ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৩ উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে এক অনুষ্ঠানে ভাষণকালে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মাছে-ভাতে বাঙালির ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রোটিন চাহিদা পূরণ করার জন্য আরো সক্রিয় হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে প্লাবনভূমিসহ নদী-নালা, খাল-বিল ও হাওর-বাঁওড়ে উন্নত প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে মৎস্য চাষকে বিপ্লব হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, জাতীয় মৎস্য উৎপাদন, দারিদ্র্য বিমোচন এবং পুষ্টি যোগানে মৎস্যচাষের অবদান আজ সর্বজন স্বীকৃত। তিনি মাছের উৎপাদন বাড়াতে সব ধরণের সুযোগ কাজে লাগাবার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমরা মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকল সুবিধা ব্যবহার করছি।
রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।। এই দেশে শুধু ধানের উৎপাদন ববাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, দেশের আপামর জনসাধারণের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানে মৎস্য খাতের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৬০ শতাংশ যোগান দেয় মাছ। তাছাড়া দেশের জনগোষ্ঠীর প্রায় ১১ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ সেক্টরের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত থেকে জীবিকা নির্বাহ করে।
আগামী ২ থেকে ৮ জুলাই মৎস্য সপ্তাহ পালনের উদ্যোগ নেয়ায় রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবং মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এম আবদুল হাই বতৃতা করেন।
মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বঙ্গভবনে চারটি পুকুরে মাছ চাষের ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি পরে বঙ্গভবনের ‘সিংহ পুকুরে’ চিতল মাছের পোনা অবুমুক্ত করেন।