শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিখালেদা এবং তারেককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করলেই রক্ষা পেতে...

খালেদা এবং তারেককে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করলেই রক্ষা পেতে পারে বিএনপি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরে এলে বিএনপি অভিনন্দন জানাবে এমন সিদ্ধান্তকে ‘জুতা মেরে গরু দান’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে’ শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ’ নামে একটি সংগঠন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি যেদিন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন, সেদিন হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। তার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় নিয়েও সৌজন্যমূলক সাক্ষাতও করেননি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। আর আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী যখন বাংলাদেশ সফরের ঘোষণা দিয়েছেন তখন আপনারা তাকে অভিনন্দন জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটা জুতা মেরে গরু দানের মতোই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিএনপিকে আর বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর নকল করে নিজেদের বিবৃতি তাদের নামে ছাপিয়ে দেয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের আর বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম বিএনপি না কি দেশব্যাপী তাদের কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, দেশব্যাপী কমিটি বিলুপ্ত করে তা পুনর্গঠন করে কোনো লাভ হবে না। আওয়ামী লীগের এ নেতা বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা খালেদা জিয়াকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে এবং তারেক রহমানকে দূরে রেখে কেন্দ্রীয় কমিটি পুনর্গঠন করুন, তাহলেই রক্ষা পেতে পারে বিএনপি। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যখন দেশের লোকসংখ্যা সাড়ে সাত কোটি ছিল, তখন ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। আজ দেশের লোকসংখ্যা ১৬ কোটি হলেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বিদেশেও খাদ্য রফতানি হচ্ছে। এটা কেবল শেখ হাসিনারই কৃতিত্ব।

তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে নগদ টাকায় খাদ্য কিনলেও তা পাঠাতে দেরি করে আমেরিকা। যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভিক্ষে অনেক লোক মারা যায়। কিন্তু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করায় সেই আমেরিকাই আজ বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য হচ্ছে। শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার কারণেই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন হয়েছে এবং এ নির্বাচন না হলে দেশে গণতন্ত্রের কবর রচনা হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কিছু দিন আগে অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেলা ১১টার সময় ৫৫টি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। যা মোট ভোট কেন্দ্রের ২ শতাংশ। তার মানে ৯৮ শতাংশ কেন্দ্রেই সুষ্ঠু ভোট হয়েছে বলে তারাই স্বীকার করে নিয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কারণেই প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার হয়েছে। ছিটমহলসহ দ্বি-পাক্ষিক অনেক বিষয় সুষ্ঠু সমাধান হয়েছে এবং বিদ্যমান সমস্যাগুলো অচিরেই সমাধান হবে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর শাখার নেতারা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ’র সভাপতি আবদুল্লাহ আল কায়সার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ