শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়অডিট অফিসকে পেপারলেস করার চ্যালেঞ্জ

অডিট অফিসকে পেপারলেস করার চ্যালেঞ্জ

বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক অফিসের সমস্ত কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করার মাধ্যমে পেপারলেস (কাগজবিহীন) অফিসে পরিণত করার চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. আবুল কাশেম। সোমবার দুপুরে রাজধানীর অডিট ভবনের এফকেএমএ বাকি অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ চ্যালেঞ্জের কথা জানান। আবুল কাশেম জানান, পুরোপুরি অনলাইন পেমেন্ট ও অনলাইন চালানে রাজস্ব জমাসহ সমস্ত কার্যক্রম অনলাইনভিত্তিক করার মাধ্যমে অডিট অফিসকে পুরোপুরি পেপারলেস করার চ্যালেঞ্জ নেওয়া হয়েছে।

অনলাইন কার্যক্রমের অগ্রগতি তুলে ধরে তিনি বলেন, চেক লেখার পরিবর্তে অনলাইনে বেতন ভাতা পরিশোধের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে ২০১৪ সালের জুলাইতে ১৪ হাজার ৩০২ জনকে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়। ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯শ’ ৯৬ জন। তিনি বলেন, টাকা ট্রান্সফারের সঙ্গে সঙ্গে প্রাপককে অনলাইন এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রাপকের টেনশন ও ভোগান্তি উভয়ই কমছে। সভাপতির বক্তব্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিঅ্যান্ডএজি) মাসুদ আহমেদ বলেন, সরকারি অর্থের অপচয়, আত্মসাত-জালিয়াতি, চুরি, বিধিবহির্ভূত পরিশোধ, আদায়ে ব্যর্থতা, আয়কর ও ভ্যাট আদায় না করা, আদায় করা অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়া ইত্যাদি অনিয়মের ফলে অডিট আপত্তি উত্থাপিত হয়।

মাসুদ আহমেদ জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপিত ১৫টিসহ সর্বমোট ২৩টি রিপোর্টের মধ্যে ২শ’ ৮৬টি অডিট আপত্তির কথা উল্লেখ রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ আট হাজার ৬শ’ ২২ কোটি টাকা। এর মধ্যে গুরুতর অনিয়ম কোনটিতে হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিঅ্যান্ডএজি বলেন, এর সবগুলোই গুরুতর অভিযোগ বলেই আপত্তি তোলা হয়েছে। ১১ মে সিঅ্যান্ডএজি’র কার্যালয়ের ৪২ বছর পূর্ণ হলো। গত ৪২ বছরে কার্যালয়টি ১২ শতাধিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র ফাইনান্স কন্ট্রোলার (বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) মোহাম্মাদ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা (পূর্ব) সরোজ কান্তি দেব ও ডেপুটি সিঅ্যান্ডএজি (এঅ্যান্ডআর) ড. শ্যামল কান্তি চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ