শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়কোটা না থাকায় ৩০ হাজার জন হজে যেতে পারবেন না

কোটা না থাকায় ৩০ হাজার জন হজে যেতে পারবেন না

হজে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কোটা না থাকায় এ বছর যেতে পারবেন না ৩০ হাজার হজযাত্রী। এর মধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়া হজযাত্রী রয়েছেন প্রায় ১০ হাজারের মতো। চুক্তি অনুযায়ী এবার ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। মঙ্গলবার দুপুরে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের উপস্থিতিতে সচিবালয়ে ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান এসব তথ্য জানান। রেজিস্ট্রেশন না করে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ায় সৃষ্ট জটিলতায় প্রায় ১০ হাজার জন হজে যেতে পারছেন না। আর সরকার তাদের দায়ভার গ্রহণ করবে না বলেও জানান তিনি। হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলননের আয়োজন করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  সংবাদ সম্মেলনে হজ নিয়ে অব্যবস্থাপনার কারণ জানতে চান গণমাধ্যমকর্মীরা। নিবন্ধন করা হজযাত্রীর সংখ্যা এবং টাকা জমা দেওয়া হজযাত্রীর বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ জানানো হয় সচিবের কাছে। সচিব সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হন।

সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান প্রথমে হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতাদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, নির্ধারিত দিনের মধ্যে এবার নিবন্ধন করেন ৯১ হাজার ৭০৮ জন। যা নির্ধারিত সংখ্যার চেয়ে ২৬০ জন বেশি। এরপর ওয়েবসাইটে অটোমেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।  হজ এজেন্সিগুলো জানিয়েছে কোটার অতিরিক্ত আরও প্রায় ৩০ হাজার জন হজে যেতে আবেদন করেছেন। কিন্তু এবার তারা হজে যেতে পারবেন না। কোটার চেয়ে আবেদনের সংখ্যা বেশি হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।

অপরদিকে হজের যাওয়ার জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দেন এক লাখ ১১ হাজার ১২ জন। অথচ চুক্তি অনুযায়ী ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকে টাকা জমা দিলেও প্রায় ১০ হাজার জন হজে যেতে পারবেন না। এছাড়া বেসরকারি এজেন্সিগুলোর কাছে হজে যেতে আরও ২০ হাজার আবেদন রয়েছে। এ নিয়ে এবার ৩০ হাজার হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন না। ধর্ম সচিব বলেন, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর নির্বাচন সামনে রেখে এজেন্সি মালিকদের দুটি পক্ষ জটিলতা সৃষ্টি করেছে। শুরুর দিকে এজেন্সিগুলো রেজিস্ট্রেশন করেনি। সর্বনিম্ন হজযাত্রীর কোটা ৫০ জন হলেও ১৩৯টি এজেন্সি এ কোটা পূরণ করতে পারেনি। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯১ হাজার ৯০৮ জন হজযাত্রী রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

কোটা অনুযায়ী সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজ করতে যেতে পারবেন। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থাপনার ৭ হাজার হজযাত্রী বেসরকারি এজেন্সিগুলোর অনুকূলে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১ থেকে ৪৯ জন (সর্বনিম্ন কোটা পূরণ করতে না পারা) করে হজযাত্রী সংগ্রহ করা ১৩৯টি এজেন্সির ৩হাজার ৪৩৮ জন হজযাত্রী রয়েছে। মূলত সরকারি কোটার হজযাত্রী এনে এ এজেন্সিগুলোর কোটা পূরণ (৫০ জন) করা হবে।’

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ