শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েজিসিসি নির্বাচন: এরশাদের সমর্থন পাওয়ার দাবি মান্নানের

জিসিসি নির্বাচন: এরশাদের সমর্থন পাওয়ার দাবি মান্নানের

গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সমর্থন পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এরশাদের সঙ্গে তার বারিধারার বাসায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন মান্নান। তবে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে এরশাদের বারিধারার বাসায় যান অধ্যাপক মান্নান। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান। এরশাদের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক মান্নান।

তিনি বলেন, ‘ তিনি (এরশাদ) আমাকে দোয়া দিয়েছেন এবং সমর্থন করেছেন। আর আজমতকে শুধু দোয়া দিয়েছেন। তবে সমর্থন দেননি।’

স্থানীয় জাতীয় পার্টি তার পক্ষে কাজ করবে বলেও সাংবাদিকদের জানান ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত এ মেয়র প্রার্থী।

মান্নান আরো দাবি করেন, বৈঠকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ তাকে বলেছেন, এরশাদ জানেন-জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মান্নানের জন্য কাজ করছেন।

আসন্ন জিসিসি নির্বাচনে এরশাদের দোয়া ও সমর্থন চাইতেই তার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক বাসভবনে অধ্যাপক মান্নানের আগমন বলে জাতীয় পার্টির নির্ভরযোগ্য একটি  সূত্র জানায়। তবে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

আগামী ৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় জিসিসি নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক মান্নানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থী আজমত উল্লাহ। এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি সমর্থিত কোনো মেয়র প্রার্থী না থাকলেও এরশাদ এখনও সুস্পষ্টভাবে কাউকে সমর্থনের ঘোষণা দেননি।

এ অবস্থায় এরশাদের সমর্থন চাইতে দুইদিন আগে ঢাকায় এসে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা। তবে দোয়া পেলেও এরশাদের সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী অধ্যাপক মান্নানও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দোয়া ও সমর্থন নিতে এরশাদের বারিধারার বাসভবনে যান। রাজনৈতিক মহলে এ বৈঠক নিয়ে তাই ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ