শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়কামারুজ্জামানের দণ্ড কমানোর সুযোগ নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

কামারুজ্জামানের দণ্ড কমানোর সুযোগ নেই : অ্যাটর্নি জেনারেল

একাত্তরের স্বীকৃত আলবদর নেতা কামারুজ্জামান যা করেছেন, তার জন্য কোনো অনুকম্পা দেখানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রোববার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের রিভিউ শুনানি শেষে সোমবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবারের কার্যতালিকায় রায়টি এক নম্বরে রয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ রায় ঘোষণা করবেন। বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী। আসামিপক্ষে কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন।

মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, আসামিপক্ষ কামারুজ্জামানের দণ্ড কমানোর পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। কিন্তু তারা খালাস ও সাজার বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। এর অর্থ, মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে তারা যাবজ্জীবন সাজার পক্ষে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, একাত্তরে কামারুজ্জামান ছিলেন আলবদর কমান্ডার। তার উপস্থিতিতে হত্যা, গণহত্যা ও ধর্ষণসহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।  এর আগে সকালে কামারুজ্জামানের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেসব কারণে রিভিউ আবেদন করা যায়, তার কোনোটিই পূরণ করেননি আসামিপক্ষ। আপিল বিভাগের রায়ে তথ্যগত কোনো ভুল থাকলে রিভিউ করা যাবে। কিন্তু এ মামলায় আপিল বিভাগের কোনো ভুল তুলে ধরতে পারেননি তারা।

তিনি বলেন, শুধু তিন নম্বর অভিযোগের (সোহাগপুর গ্রামে গণহত্যা) বিষয়ে তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য থেকে যা বলেছেন তার ভিত্তি নেই। তিন সাক্ষীই কামারুজ্জামানকে আসামির কাঠগড়ায় শনাক্ত করেছেন। এছাড়া ১৩ নম্বর সাক্ষী বলেছেন, স্বাধীনতার পর কামারুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এসব কারণে আসামিপক্ষের যুক্তির কোনো ভিত্তি নেই।

তিনি আরও বলেন, সোহাগপুর থেকে মানুষ হত্যা করে মরদেহ ক্যাম্পে নিয়ে আসা হতো পাকিস্তানিদের দেখানোর জন্য। মরদেহ দেখিয়ে বলা হতো, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে। তাই এ আলবদর নেতা কোনো অনুকম্পা পেতে পারেন না। তাকে অনুকম্পা দেখালে ইতিহাসের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ