বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনইসি’র নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে নগরীর প্রবেশপথে বসছে চেকপোস্ট

ইসি’র নির্দেশে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে নগরীর প্রবেশপথে বসছে চেকপোস্ট

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে নগরীর প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানোর জন্য নগর পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশ পেয়ে নগর পুলিশ নগরীতে ৮টি গুরুত্বপূর্ণ ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’ চিহ্নিত করেছে। পুলিশ এসব পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার নগর পুলিশ কমিশনার মোহা.আব্দুল জলিল মন্ডলকে মৌখিকভাবে প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দেন রিটার্নিং অফিসার মো.আব্দুল বাতেন। এ সংক্রান্ত নির্দেশনার একটি চিঠিও রোববার পুলিশ কমিশনারের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে বলে বাতেন জানান।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নির্বাচন কমিশনের লিখিত নির্দেশনাটা আমরা রোববার হাতে পাব। তবে মৌখিক নির্দেশনা পেয়েই আমরা ৮টি পয়েন্ট ঠিক করেছি। এসব পয়েন্টে আমাদের অবশ্য আগে থেকেই অস্থায়ী চেকপোস্ট আছে। এখন কাজ হচ্ছে, এগুলোকে আরও সক্রিয় করা। পুলিশ সূত্রমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন শুধুমাত্র নগরকেন্দ্রিক হওয়ায় গ্রামগঞ্জের সন্ত্রাসী, মাস্তানরা সুযোগ নেয়ার জন্য তৎপর হয়ে উঠে।

সাধারণ গ্রামগঞ্জে এ নির্বাচনের ডামাডোল না থাকায় তারা বিভিন্ন প্রভাবশালী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য নগরে চলে আসেন। মূলত পেশীশক্তি প্রদর্শনের কাজেই তাদের ব্যবহার করা হয়। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। এ বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে রিটার্নিং অফিসার প্রবেশপথে পুলিশের কঠোর নজরদারি চেয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা মোতাবেক যে আটটি পয়েন্ট নগর পুলিশ নির্ধারণ করেছে সেগুলো হল, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রবেশপথ সিটি গেইট, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের প্রবেশপথ অক্সিজেন মোড়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একাংশের প্রবেশপথ কালুরঘাট এবং আরেক অংশের প্রবেশপথ শাহ আমানত সেতু, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে নগরীর প্রবেশপথে কাটগড়, সিমেন্ট ক্রসিং ও গুপ্তখাল এলাকায় তিনটি পয়েন্ট এবং কর্ণফুলী-আনোয়ারা থেকে নদীপথে প্রবেশপথ ১৫ নম্বর জেটিঘাট।

এছাড়া অক্সিজেন-হাটহাজারী লিংক রোডের দু’পাশে আরও দু’টি চেকপোস্ট বসানো যায় কিনা তা-ও খতিয়ে দেখছে নগর পুলিশ। নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার বলেন, লিংক রোডের একপাশে অক্সিজেন মোড়ে তো একটি চেকপোস্ট থাকবে। সেখ‍ানে আরেকটি প্রয়োজন আছে কিনা সেটা আমরা দেখছি। আর লিংক রোডের অপর অংশের প্রবেশপথ কাপ্তাই রাস্তার মাথায় একটি হয়ত দেয়া যাবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আটটি চেকপোস্টকে পুরোপুরি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় আনার চিন্তাভাবনা করছে নগর পুলিশ। এক্ষেত্রে কয়টি ক্যামেরা লাগবে, লাগানোর জন্য কতদিন সময় লাগতে পারে, ব্যয় কি ধরনের হবে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ব্যয়সীমার মধ্যে থাকলে চেকপোস্টগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। সোমবারের মধ্যে আটটি প্রবেশপথে চেকপোস্টের কার্যক্রম জোরালোভাবে শুরু করা যাবে বলে তিনি জানান। এর মধ্যে নগরজুড়ে সারপ্রাইজ চেকপোস্টও বসানো হবে বলে ‍জানান নগর পুলিশের অন্যতম শীর্ষ এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ