বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপাঁচ বছরে মনজুরের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ

পাঁচ বছরে মনজুরের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ

বিএনপি-সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমের অস্থাবর সম্পদ পাঁচ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হলফনামায় এবার তাঁর অস্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে ৩০ কোটি ১৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র নির্বাচনের সময় তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ১৭ কোটি ৯৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিনের অস্থাবর সম্পদের মূল্য দেখানো হয়েছে সাড়ে ১১ কোটি টাকা। সম্পদের দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও বার্ষিক আয়ে মনজুরের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তাঁর বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অন্যদিকে মনজুর আলমের আয় ১ কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ২০১০ সালে তাঁর আয় ছিল ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের সদ্য বিদায়ী মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম মুঠোফোনে  বলেন, ‘স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে শেয়ারের লভ্যাংশ পেয়েছি। সে কারণে পাঁচ বছরে অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। আমার সবই বৈধ আয়, অবৈধ কিছু নেই।’ নাছিরের ৮ কোটি ৪৪ লাখ দেনা রয়েছে এবং মনজুর আলমের দেনা ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

গত রোববার দুই মেয়র প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হলফনামা জমা দেন। সেখানে তাঁদের আয়, ব্যয়, সম্পদ, পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি উল্লেখ করা হয়েছে। এসএসসি পাস মনজুর নিজেকে শিল্পপতি হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ১২টি প্রতিষ্ঠানের তিনি কোনোটির চেয়ারম্যান, কোনোটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবার কোনোটির পরিচালক বলে কমিশনকে জানান। তাঁর বার্ষিক আয় ১ কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র হিসেবে তাঁর বার্ষিক সম্মানী ৪ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়।
স্নাতক পাস আ জ ম নাছির উদ্দিন হলফনামায় ছয় ধরনের ব্যবসাকে তাঁর পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে বার্থ অপারেটিং, সোয়েটার কারখানা, ডেভেলপার, ফিশিং ব্যবসা, ঘাট ইজারা ব্যবসা ও তেল পরিবহন ব্যবসা রয়েছে। এসব খাত থেকে তাঁর বছরে আয় ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন কোম্পানি থেকে পরিচালক ভাতা হিসেবে বছরে তিনি আয় করেন ৪২ লাখ টাকা।

মনজুর আলমের স্ত্রীও সম্পদশালী। তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৭ লাখ টাকা। নাছির উদ্দিনের স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৪৮ লাখ ৭১ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা রয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনজুর আলমের। পাঁচ বছর আগে তা ছিল ২৫ লাখ টাকা। ওই সময় তাঁর নামে ব্যাংকে ৯২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থাকলেও এবার ব্যাংক জমা শূন্য দেখানো হয়েছে। নাছিরের নামে ব্যাংকে জমা আছে ৯১ হাজার টাকা। নগদ রয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তাঁর একটি পুরোনো জিপ রয়েছে। অন্যদিকে যানবাহন খাতে মনজুর আলমের ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু কী ধরনের যানবাহন, সেটি স্পষ্ট করা হয়নি।

মনজুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৮ টাকা। এর মধ্যে অকৃষিজমির মূল্য ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। তাঁর স্ত্রীর নামে অকৃষিজমি রয়েছে ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকার। অন্যদিকে নাছিরের স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর সম্পদ নেই। নাছিরের নামে ঢাকায় ১০ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে পৈতৃক বাড়ির ছয় ভাগের এক অংশের মালিক তিনি। তবে বাড়িটি কত কাঠার, তা হলফনামায় উল্লেখ নেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ