রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বঙ্গবন্ধুর মতোই রাসেলও শিশুদের খুব ভালোবাসতো

বঙ্গবন্ধুর মতোই রাসেলও শিশুদের খুব ভালোবাসতো

শেখ রাসেল টুঙ্গীপাড়ায় এসে ছোট শিশুদের নিয়ে খেলাধুলা করতো। তাদের নিয়ে একসঙ্গে খাবার খেতো। বঙ্গবন্ধুর মতোই সেও শিশুদের খুব ভালোবাসতো। এখন শিশুদের দেখে আমি রাসেলকে হারানোর কষ্ট দূর করি। এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৯৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাবলিক প্লাজায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন-এদেশে কোনো শিশু না খেয়ে মারা যাবে না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার সঙ্গে শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে এ দেশটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক শিশুকে লেখাপড়া শিখতে হবে। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। বিশ্ব দরবারে আমরা পরিচিতি পেয়েছি। আমরা একটি দেশ পেয়েছি। জাতির পিতা শিশুদের খুব ভালোবাসতেন। তিনি চেয়েছিলেন প্রতিটি শিশু লেখাপড়া করবে, এদেশের নেতৃত্ব দিবে। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে আমরা ঘোষণা করেছি।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক করেছিলেন। শিশুদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা,মসজিদ ও মন্দির ভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শিশুদের উদ্দেশে বলেন, জীবনে বড় হতে হলে লেখাপড়া শিখতে হবে, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। গরীব ও প্রতিবন্ধি শিশুদের অবহেলা করা যাবে না। তাদের তোমরা কাছে টেনে নিবে, আদর করবে, ভালোবাসবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকে কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকে ও কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। মাল্টি মিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি চালু করা হয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের বই ই-বুকে রূপান্তর করা হয়েছে। এতে আমাদের শিশুরা যুগোপযোগী শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তারা আধুনিক প্রযুক্তি শিখে নিজেকে গড়ে তুলবে। তাহলে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে নিজেকে তৈরি করতে পারবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো মানুষ গরীব থাকবে না। আমরা তাদের জন্য একটি করে ঘরের ব্যবস্থা করবো। তাদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থা করবো। যাতে ভবিষতে সুস্থ শিশুর জন্ম হয়। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করতে হবে। এতে শরীর ও মন ভালো থাকবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিশু ও মহিলা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, এদেশে রাজাকার-আলবদরদের বিচার করা হচ্ছে। পেট্রোল বোমা মেরে যারা এদেশে শিশুদের হত্যা করছে, তাদের ও এদেশে বিচার করা হবে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা শহরের এস এম মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থী আশুরা ইসলাম। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক উল ইসলাম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লার রহমান ও গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান। এরপর তিনি বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পাবলিক প্লাজায় ফিতা কেঁটে ৩ দিনব্যাপী বই মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় ১১টি স্টল অংশ নিচ্ছে।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ