ইন্টারন্যাশনাল ডেস্কঃ (বিডি সময় ২৪ ডটকম)
বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তৃণমূল রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে ১৭ জন দেশি-বিদেশি লেখকের লেখা বই ‘দ্য পলিটিক্যাল থট অব তারেক রহমান: এমপাওয়ারম্যান্ট অব দ্য গ্রাসরুট পিপল’-এর প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটি অব আর্মস অডিটোরিয়ামে বইটির প্রকাশনা সংস্থা বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম ক্যামব্রিজ এ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে তৃণমূল জনগণের ক্ষমতায়ন যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে তারেক রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর রাজনীতিকদের সেটিই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছেন। বইটি রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে তৃণমূলের গুরুত্বের এক অনবদ্য দলিল। বিএনপি’র বিগত মেয়াদে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তারেক রহমান জনগণের কথা শুনেছেন। রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে তাদের চিন্তা চেতনা জানতে চেয়েছেন। সর্বোপরি তাদের ক্ষমতায়ন কিভাবে করা সম্ভব সেই পথ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। দেশি-বিদেশি ১৭ জন বিশিষ্ট লেখকের লেখায় তারেক রহমানের সেই ব্যতিক্রমী জনসম্পৃক্ততার কথাই বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড সোশ্যাল জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক ফ্রান্সিস ডেভিস। এসময় তিনি বইটির একটি কপি অনুষ্ঠানে উপস্থিত তারেক রহমানের হাতে তুলে দেন।
ফ্রান্সিস ডেভিস ছাড়াও বইটির ওপর আলোচনায় অংশ নেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য জন ক্লেটন ও ড. ডেভিড এডগার।
অনুষ্ঠানে তারেক রহমান নিজে কোনো বক্তৃতা না দিলেও অনুষ্ঠান চলাকালীন পুরো সময়ই দর্শকসারিতে উপস্থিত ছিলেন।
তারেক রহমান ছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য সফররত সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ-শিক্ষাবিদ-সাংবাদিক-কলামিস্ট ছাড়াও বৃটেনের দু’জন প্রখ্যাত সাংবাদিক তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তা নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন বইটিতে। এরা হলেন, ব্রিটেনের মূলধারার দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও গার্ডিয়ান পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকার কলাম লেখক ডেভিড নিকলসন এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জেমস স্মিথ।
লেখক হিসেবে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক মুশফিকুর রহমান, প্রফেসর মুনিরুজ্জামান মিয়া, প্রফেসর আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর খোন্দকার মুজতাহিদুর রহমান, প্রফেসর সৈয়দ রাশিদুল হাসান, প্রফেসর আব্দুল লতিফ মাসুম, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শাহাবুল হক, বাংলাদেশ পলিসি ফোরাম ক্যামব্রিজের প্রেসিডেন্ট ড. মাহদি আমিন, লন্ডন মেয়রের সাবেক উপদেস্টা হুমায়ুন কবীর, সাংবাদিক কলামিস্ট শওকত মাহমুদ, আব্দুল হাই শিকদার, সালেহ শিবলী এবং আশিক ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকদের রাজনৈতিক চিন্তা নিয়ে এ ধরনের বই প্রকাশ একটি প্রশংসনীয় ও ইতিবাচক উদ্যোগ। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য একজন শীর্ষ রাজনীতিকের তৃণমূল ভাবনা বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্যও অনুকরণীয় ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একজন শীর্ষ রাজনীতিক হয়েও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার, জনগণের ক্ষমতায়নে তার এই অব্যাহত সংগ্রামই আজ তারেক রহমানকে জননেতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। দেশের বর্তমান ক্রান্তিকালে জনগণ তাই আজ তাদের সেই ‘জননেতা’রই অপেক্ষায় রয়েছে, যে নেতা তাদের ক্ষমতায়নের অসমাপ্ত কাজ আবার শুরু করবেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত সাংবাদিকরা প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তারেক নিজেও কিছু বলবেন, এমনটাই আশা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু তারেক কিছুই বলেন নি। নিজের তৃণমূল রাজনৈতিক দর্শনের ওপর আলোচকদের বক্তব্যই শুধু শুনেছেন তিনি। সাংবাদিকরা তাকে কোনো প্রশ্ন করারও সুযোগ পাননি।