বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ২৫ জানুয়ারি রোববার সকাল থেকে পল্টন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। তবে পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি রয়েছেন সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও। এদিকে ৪ জানুয়ারি বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে পুলিশ সদস্যরা অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কার্যালয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা। এরপর থেকে দলীয় কোনো নেতাকর্মী যাচ্ছেন না তাদের কার্যালয়ে। তবে রিজভী আহমেদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর কার্যালয়ে আটকা পড়েন তুষার নামের এক কর্মচারী। পরে তার চিৎকারে ১২ ঘণ্টা পর বের করা হয়। পরে রুহুল কবির রিজভী অ্যাপলো থেকে বের হয়ে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে চলে যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে কর্তব্যরত পল্টন থানার সাব ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হরতালে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এজন্য বাড়তি পুলিশ সদস্য রয়েছেন। আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য পল্টনে পুলিশ সদস্যরা এপিসি, রায়েটকার, প্রিজনভ্যান এনে রেখেছেন। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ও সরকারের নাশকতার ষড়যন্ত্র এবং বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের দশ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে চলমান অবরোধের পাশাপাশি রোববার সকাল থেকে টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ঘোষণা দেন স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।