শনিবার, জুলাই ২৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছে...

পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছে – প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে নিরাপত্তার অভাবে পোশাক কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার মতো কোন পরিবেশ বা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তিনি বলেন, তবে সরকার পোশাক কারখানায় নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বুধবার সংসদে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে স্থিতিশীল পরিবেশ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা ও দিক-নির্দেশনা প্রদানের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নেতৃত্বে ১১ জন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রীর সমন্বয়ে ‘গার্মেন্টস শিল্প বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি’ গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর ফলে গার্মেন্টস সেক্টরের অগ্রগতির অন্তরায়সমূহ নিরসন করে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন সাধন করা সম্ভব হবে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের আলোকে তৈরি পোশাক শিল্পে ভবন ও অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ক টাস্কফোর্স এবং তৈরি পোশাক শিল্পের সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ বিষয়ক দু’টি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সুসংহত ও জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভেটিং গ্রহণের পর সংশোধিত প্রস্তাব বিল আকারে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিলটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য জাতীয় সংসদ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেছে। নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১০ সালের ১ নভেম্বর থেকে গার্মেন্টস শিল্প সেক্টরে নিম্নতম মজুরি ১ হাজার ৬৬২ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবারো গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পুনঃনির্ধারণের জন্য নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গত ৭ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দেশের তৈরি পোশাক কারখানাসমূহ সরেজমিন পরিদর্শন করে এ শিল্পে নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং শ্রমিক কল্যাণনিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীকে সভাপতি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীকে সহ-সভাপতি করে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন মাসের মধ্যে ‘গার্মেন্টস শিল্প বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি’র নিকট প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটি’ গঠন করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ওই কমিটি কোন শ্রমঘন এলাকায় বা কোন কারখানায় শ্রম অসন্তোষের সম্ভাবনা দেখা দেয়ার আগে বা পরে ওই এলাকার কারখানার মালিক, শ্রমিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট কারখানার শ্রমিকদের সমন্বয়ে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ নিরসন করবে।
তিনি বলেন, ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলায় শ্রমঘন এলাকার সংসদ সদস্যদের সভাপতিত্বে ৭টি ‘আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটি’ রয়েছে। সংসদ সদস্যগণের এলাকায় কোন শ্রম অসন্তোষ দেখা দিলে স্থানীয় পর্যায়ে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে অসন্তোষ নিরসন করে থাকে। তাছাড়া শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ গঠন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তরের অবকাঠামো সম্প্রসারণের মাধ্যমে জনবল বৃদ্ধি করার প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ