রবিবার, মে ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদপ্রবাসী সময়সংসদে অশালীন বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে সরকার’

সংসদে অশালীন বক্তব্য দিতে বাধ্য করেছে সরকার’

নিজেদের অশালীন আর কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য সরকারের অসহনশীল আচরণকে দায়ী করলেন বিএনপির নারী সাংসদরা। তাদের অভিযোগ সরকার পরিকল্পিতভাবে অশালীন বক্তব্যের জন্য বাধ্য করেছে। তারা বলেন, সংসদ নেতা-প্রধানমন্ত্রী যদি অশালীন ভাষায় অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন তাবে তার প্রভাব সবার উপর পড়াটাই স্বাভাবিক।

বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সরকার ও বিরোধীদলের কয়েকজন সদস্যের বক্তব্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলেই অশালীন ভাষা ব্যবহারে জড়িয়ে পড়ছেন কয়েকজন সাংসদ। বিশেষ করে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ঘটনায় বেশিরভাগ ঘটনাতেই যুক্ত হয়েছেন নারী সদস্যরা। স্পিকার রুলিং দিয়ে মাইক বন্ধ করেও তাদের নিবৃত্ত করতে পারছেন না।

তবে বিরোধী দল-বিএনপির কয়েকজন নারী সাংসদ নিজেদের অসংসদীয় ও অশালীন ভাষায় বক্তব্য রাখার জন্য দায়ী করছেন সরকারকে। তারা জানান, সরকারের আচরণেই তাদেরকে এমন বক্তব্য রাখতে বাধ্য করা হয়েছে।

বিএনপির সংসদ সদস্য রেহানা আক্তার রানু বলেন, ‘যুক্তিতে আমাদের সাথে পারছে না। তখনই তারা আমাদের নেতাদের ব্যক্তিগতভাবে চরিত্রহনন করছে। আমরা যখনই এগুলোর জবাব দিতে যাচ্ছি তখনই তারা বলছে আমরা অশালীন কথা বলছি।’

আরো বলেন, ‘তারা সংসদে একটা কথা বলবে, বাজেট বক্তুতা দিতে এসে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আর আমরা এটার জবাব দেব না সেটা তো হতে পারে না।’

একই প্রসঙ্গে বিএনপির আরেক সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী যদি নিজে বাজে এবং ইঙ্গিতপূর্ণ কথাবার্তা বলেন বিরোধীদলীয় নেতাকে নিয়ে তখনতো তার প্রভাব সবার ওপরই পড়বে।’

তবে সংসদে অশালীন ভাষার বক্তব্য বন্ধ হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন বিএনপি সাংসদরাও। এ জন্য দরকার হলে ভাষা ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার পক্ষে মত দেন তারা।

শাম্মী আক্তার আরো বলেন, ‘একটা ডিকশনারি করা দরকার যে শব্দগুলো আমরা পার্লামেন্টে বলব না। যেমন অস্ট্রলিয়ার পার্লামেন্টে কাউকে হাবা বলা যাবে না, গুন্ডা, বোবা বলা যাবে না। এই শব্দগুলোকে তারা অসংসদীয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।’

রানু বলেন, ‘প্রস্তাব দিয়েছে যে প্রতি মিনিটে ৩০ হাজার টাকা কেটে নেবে। আমি মনে করি যে শুরু করবে তার বেশি কাটতে হবে। আর পাল্টা জবাব দিলে একটু কম কাটতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপির জেষ্ঠ্য সাংসদ ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, অতীতে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার খুব একটা ছিল না। কিন্তু এখন তা বেড়ে গেছে। অশালীন ভাষায় বক্তব্য দেয়া অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি।

মওদুদ বলেন, ‘এটার মূল দায়িত্ব হলো সরকারে এবং এর জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয় তবে সরকারকেই দায়ী করতে হবে। সরকারের কয়েকজন এমপি মাত্র, সবাই না।’

এদিকে, সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য সাংসদদের ৩০ হাজার টাকা জরিমানার বিধানের যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এর প্রতি সমর্থন জানান মওদুদ আহমদ। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনায় তিনি বলেন, ‘ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানার প্রস্তাবকে আমরা সম্পূর্ণভাবে সমথৃন করি।’

– See more at: http://www.desh.tv/news/details/id/12274#sthash.w9qEE4fh.dpuf

আরও পড়ুন

সর্বশেষ