সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবিতে ছড়িয়ে পড়া তেল অপসারণ কার্যক্রমে নৌ মন্ত্রণালয়ের গাফিলতি রয়েছে বলে মনে করছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তেল অপসারণের এ কার্যক্রমে হতাশাও ব্যক্ত করেছে কমিটি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পর্যাবেক্ষণে জানা গেছে, ট্যাংকারটি ডুবে যাওয়ার পর নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করেনি। এছাড়া নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয় ও মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের এধরনের দুর্ঘটনা তেল অপসারণের পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না।‘ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটির বৈধ কাগজ পত্র ছিলো না’ উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে জানতে পেরেছি শুধু মাত্র ডুবে যাওয়া ট্যাংকারটিই নয় এমন বহু তেলবাহী ট্যাংকারের বৈধ কাগজ-পত্র নাই। ত্রুটিপূর্ণ এসব নৌ-যান চলাচল বন্ধ করতে আমরা নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছি।এদিকে কমিটি সুত্রে জানা যায়, ট্যাংকার ডুবির ঘটনায় সুন্দরবন এলাকায় পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্রের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কে সুপারিশ করার উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) মো. নূরুল করিমকে আহ্বায়ক করে নয় সদস্য বিশিষ্ট্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি মূলত ফার্নেস অয়েল নদীর পানিতে ছড়িয়ে পড়ায় সুন্দরবনের প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব এবং সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপরন করবে। একই সঙ্গে সম্ভাব্য বিপর্যয় ও ক্ষয়ক্ষতির উত্তরণে করণীয় বিষয়ও সুপারিশ করবে।কমিটি সুত্রে আরো জানা যায়, ফার্নেস অয়েল নিঃসরণজনিত দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের উপর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলা করা জন্য ইউএনডিপি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে ইআরডি’কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইউএন মিশনের সদস্যদের নামের তালিকা পাঠানোর জন্য গত ১৭ ডিসেম্বর অনুরোধ জানানো হয়েছে।