সোমবার, মে ৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনউপাচার্যের মদদপুষ্টদের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার খুন হয়েছেন

উপাচার্যের মদদপুষ্টদের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার খুন হয়েছেন

উপাচার্যের মদদপুষ্টদের হাতে ছাত্রলীগ কর্মী তাপস সরকার খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ। তারা অবিলম্বে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ ও খুনীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাহেদ সরোয়ার বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তি উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফ ও প্রক্টর সিরাজ উদ দৌলার প্রত্যক্ষ মদদে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেনের অর্থায়নে কেনা অস্ত্র দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’ তিনি বলেন,‘হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য নায়করা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করছি।’

সাহেদ সরোয়ার বলেন,‘‘একটা প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্টী বহু বছর ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতির পথ রুদ্ধ করায় তাদের মূল লক্ষ্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে মূল ধারার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসের বাইরে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, সাংবাদিক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতা লাঞ্ছনা, পুলিশের উপর হামলা, নারী উৎপীড়িনের অভিযোগে মামলা রয়েছে। এদের মদদদাতা খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তারা এ কাজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের প্রত্যক্ষ মদদে করে থাকেন। সন্ত্রাসীর মদদদাতা উপাচার্য ও প্রক্টরের অপসারণ দাবি করছি।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মামুনুল হক বলেন,‘‘ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের ইতিপূর্বে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কারের সময় কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সেই সময় অনুরোধ জানিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাদের মদদ দিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজকে তারা ছাত্রলীগ কর্মীকে দিবালোকে হত্যা করার দুঃসাহস দেখিয়েছে। যারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। তারা সন্ত্রাসী। অবিলম্বে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ইন্ধনদাতাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য রাকিব হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেন জুয়েল, রেজাউল করিম ও শরীফুল ইসলাম শরীফ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ