ফখরুল বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত না করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। আপনারা বাকশালী কায়দা থেকে সরে আসুন। তিনি আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা স্বাধীনতার পর দেশে বাকশাল কায়েম করে ছিলেন। এখনো এর ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন। এই কায়দায় এখন আর আপনাদের চলতে দেবে না দেশের জনগণ। স্বাধীনতার পর বাকশাল কায়েম করে দেশে যেভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলেন। ঠিক একই কায়দায় বর্তমান সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে যাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার ভিন্ন মতাদর্শীদের হত্যা করে চলছে। তাদের মনের মতো না হলে তারা যে কোনো কায়দায় হত্যা করছে। তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কখনো মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন চায়নি। এজন্যই তরা ভিন্ন মতাদর্শীদের নিশ্চিন্ন করেছে। তারা এখনো তাই করছে। তিনি বলেন, তারা হঠাৎ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা বাতিল করে নিজেদের মতো করে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে। তাদের দলের নেতারা ভিন্ন কায়দায় বাকশাল কায়েম করতে চায়। ৭১-এ বঙ্গবন্ধুর যে বাকশালী আদর্শ ছিলো তা থেকে তারা একটুও বিচ্যুত হননি।
ফখরুল বলেন, জনগণের দাবিকে উদ্দেশ্যমূলক বক্তব্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চান। কিন্তু সম্ভব নয়। এখন এদেশের মানুষ আপনাদের নোংরামি রাজনীতি বুঝতে পেরেছে। মানুষকে ধোকা না দিয়ে সকল দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। তিনি দেশবাসীকে খালেদা জিয়ার আন্দোলনের ডাকে সারা দিতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, ড. মইন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজ উদ্দিন আহমেদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মোস্তাহিদুর রহমান, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএনপির প্রচার সম্পাদক জয়নুল আবদিন ফারুক প্রমুখ।