শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে একটি রিভলবার ও বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্মী ছাড়াও বহিরাগত কয়েকজন রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার রহমত উল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তারা ১৭ জনকে আটক করেন। তাদের মধ্যে অনিক ও খোকন নামে দুই জনের নাম জানা গেছে। বাকিদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শিপলুর বাসায় অভিযান চালিয়ে গুলিসহ রিভলবার এবং ১৯টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শিপলুকে আটক করা যায়নি। ওসি আরো জানান, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা নিহতের পরিবার কোনো মামলা করেনি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এলএলবি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস নিহত হন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের এ সংঘর্ষে দুই পক্ষেই স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ বেশকিছু বহিরাগত অংশ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সংঘর্ষের পর কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। আগামী ২৫ নভেম্বর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
