রবিবার, মে ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়কিশোরগঞ্জের হাসান আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু

কিশোরগঞ্জের হাসান আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ হাসান আলীর বিরুদ্ধে তার অনুপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বর এ মামলায় সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর তারিখ ধার্য করা হয়েছে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেয়।
গত ২২ আক্টোবর অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষে আজ আদেশ দেয়ার দিন ধার্য করে দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী ও প্রসিকিউটর আবুল কালাম। অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন হাসান আলীর পক্ষে রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান। গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাসান আলীর অনুপস্থিতিতে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় আব্দুস শুকুর খানকে রাষ্ট্রীয় খরচে আসামিপক্ষের আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়।
গত ২৪ আগস্ট হাসান আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নিয়ে পলাতক এ রাজাকার কমান্ডারকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়ার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। পরে তাকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয় প্রসিকিউশন। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুট, আটক ও নির্যাতনের ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। এতে ২৪ জনকে হত্যা, ১২ জনকে অপহরণ ও আটক এবং ১২৫টি ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার ছিলেন হাসান আলী। সে সময় তিনি তাড়াইল থানা এলাকায় ‘রাজাকারের দারোগা’ নামে পরিচিত ছিলেন। তবে তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে না থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাছিহাতা গ্রামে বসবাস করছেন। তদন্তের স্বার্থে আনা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে গত ৩ এপ্রিল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে এখনো পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ