সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদফিচারশ্রদ্ধাঞ্জলি : ভাষা মতিনের মুখে ভাষা আন্দোলনের কথা

শ্রদ্ধাঞ্জলি : ভাষা মতিনের মুখে ভাষা আন্দোলনের কথা

Matin pic—–এম আর মাহবুব : গবেষক, লেখক——

মহান ভাষা আন্দোলনের অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব আবদুল মতিন আজ আর আমাদের মাঝে নেই। গত বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে গত ১৯ আগস্ট তিনি বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি হন। হাসপাতালে ভর্তির আগে গত ৯ আগস্ট তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয় বায়ান্নর স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক আমতলায় (আজকের ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ)। এর একদিন আগে, ৭ আগস্ট সকালে আমি তাঁর মোহাম্মদপুরের বাসায় যাই এবং সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। অসুস্থ শরীর নিয়েও তিনি তাঁর শৈশব, ভাষা আন্দোলন, বর্তমান রাজনীতিসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেন। এটিই ছিল হাসপাতালে ভর্তির আগে ভাষা মতিনের শেষ সাক্ষাৎকার। সে আলাপচারিতার কিছু অংশ এখানে তুলে ধরছি।

জন্ম, শিক্ষা, শৈশব ও কৈশোরের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার জন্ম ১৯২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পাবনার ধুবুলিয়া গ্রামে। আমার বাবু (বাবা) আবদুল জলিল দার্জিলিংয়ের ক্যান্টনমেন্টে চাকরি করতেন। আমি ভাইবোনদের মধ্যে সবার বড়। আমার জন্মের কয়েক বছরের মধ্যেই ধুবুলিয়া গ্রাম নদী ভাঙনের ফলে বিলীন হয়ে যায়। আমরা চলে আসি দার্জিলিংয়ের বাবার কোয়ার্টারে। ‘৩২ সালে বাসার কাছেই মহারানী গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হই। ৃএই স্কুলে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত বালক-বালিকা একসঙ্গে পড়তো। দ্বিতীয় কি তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময় আমার মা মারা যায়। এ ঘটনা আমার জীবনের মোড় পরিবর্তন করে দেয়। মা ছিল আমার খুব প্রিয় একজন মানুষ। তাকে হারিয়ে আমার সবকিছু ওলোট-পালোট হয়ে যায়।ৃ” মায়ের স্মৃতি, নানীর স্মৃতি, নানা ও খালাতে খুঁজে বের করার বিচিত্র অভিজ্ঞতার স্মৃতিচারণ করেন আবেগজড়িত কণ্ঠে। “ৃনানার নাম জানতাম আব্বাস সরকার। সেই সূত্র ধরে অনুসন্ধান। অনেকটা যেন হ্যালির রুটসের মতো অবস্থা। অবশেষে নানীর সন্ধান লাভ। এরপর এক খালাকেও খুঁজে বের করি। তাদের খুঁজে বের করার সাথে সাথে দেশকেও চিনতে শুরু করি। কোনোদিন বই পড়ে পাস করিনি। লেখাপড়া করে নয় অভিজ্ঞতা থেকে জীবনের শিক্ষা। মানুষের কাছ থেকে রাজনীতির উপাদান সংগ্রহ। আমি তখন গ্রামের বাড়িতে। বাবার কাছ থেকে টেলিগ্রাম পেলাম আমি ম্যট্রিক পরীক্ষায় পাস করেছি। বাবার কাছে ফিরে যাই। বাবা সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে সেন্ট জেভিয়ার্সে ভর্তি করাবে। আমি রাজি হলাম না। আমার ইচ্ছা দেশ ও দেশের মানুষকে জানা ও বোঝা তাই পূর্ব বাংলার কোনো কলেজে ভর্তি হতে চাইলাম। এর মধ্যে মামার সাথে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হতে আসি। সেখানকার পরিবেশ আমার পছন্দ হয়নি। শেষ পর্যন্ত রাজশাহী যাই। সরকারি কলেজে ভর্তি হই কলা বিভাগে ১৯৪৩ সালে। নিউ হোস্টেলে সিট পাই। সে সময় পাকিস্তান আন্দোলন নিয়ে তোলপাড়। মনের ভেতর প্রশ্ন কেন পাকিস্তান কেন স্বতন্ত্র আবাসভূমি দার্জিলিংয়ে থাকাকালে পাঞ্জাবি, তামিল, তেলেগু, ভুটিয়া, নেপালিদের সংস্পর্শে এসেছি। বিচিত্র সে সব মানুষ। সে সময় ইংরেজের অত্যাচারও দেখেছি। ওরা বড় অসভ্য। ওদের কোনো চরিত্র ছিল না। আবার মুসলমানদের মধ্যে একে অপরের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষও প্রত্যক্ষ করেছি সে সময়।

রাজশাহী এসে সবকিছু দেখে অনুভব করতে পারলাম ইসলামের ভিত্তিতে পাকিস্তান পৃথক রাষ্ট্র হলে একটা ভালো দেশ হবে না। গোঁজামিল হবে। তার চেয়ে বাঙালিদের আলাদা রাষ্ট্র হলে ভালো দেশ হবে। তাই পাকিস্তানকে সমর্থন করতে পারি না। ১৯৪৫-এ ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর অনুভব করলাম পাকিস্তান একটু বোঝা দরকার। গেলাম আলীগড়ে পড়তে। সেখানে সব উর্দু কথা। কিছু বুঝি না। পরিবেশও নোংরা। ফিরে এলাম কলকাতায়। কিন্তু ইসলামিয়া কলেজ ছাড়া প্রেসিডেন্সিতে জায়গা পাওয়া সম্ভব নয়। একজন ঢাকার কথা বললেন। গেলাম ঢাকা। পছন্দ হলো। ভর্তি হলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৪৭-এ বিএ পাস করি। সে সময় পাকিস্তানও হলো। ভাবলাম কোথায় দাঁড়ালাম। চিন্তাভাবনা করছি কী করব। ১৯৪৭-এর নভেম্বরে একদিন নীলক্ষেত ব্যারাক দিয়ে যাচ্ছিলাম। কর্মচারীদের আলোচনা শুনলাম। তারা বলছে পোস্টকার্ড, ট্রেনের টিকেট সবকিছুতেই উর্দু আছে, ইংরেজি আছে, বাংলা নেই কেন তাদের দাবি রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই। আমাকে চমকিত করলো। ভাবলাম তারা কি বাংলা রাষ্ট্রভাষা চাচ্ছে। তখন মনে হলো এটা এভাবে হতে পারে যদি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা যায়। আমার চিন্তায় তখন কর্মচারীদের আলোচনাই ঘুরপাক খাচ্ছে। ছাত্ররা তখনো সোচ্চার নয়। সে সময় এক ছাত্র জানালো, কর্মচারীরা রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবি করছেন। সে থেকেই আমি একটি লাইন পেয়ে গেলাম। দেখলাম ঘটনাগুলো মানুষের ভেতর থেকে ঘটছে। এসব চাপিয়ে দেবার বিষয় নয়।”

ভাষা আন্দোলন প্রসঙ্গ আসলে তিনি বর্ণনা করতে থাকেন একের পর এক ঘটনা। “১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ জিন্নাহ সাহেব ঢাকায় আসেন। ২১ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে জিন্নাহর ভাষণ শুনতে সেখানে যাই। ভাষণে বললেন উর্দুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। প্রতিবাদ করতে চাইলাম। বন্ধুরা থামিয়ে দিল। হলে এসে দেখি কনভোকেশনের নোটিস। ২৫ টাকা দিয়ে ড্রেস নিলাম। ভাবলাম সেখানে যদি জিন্নাহ বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে আবার বলেন তবে প্রতিবাদ করবো। এদিকে কথাবার্তা হচ্ছে জিন্নাহকে অপমান করা হলে বরদাশত করা হবে না। কার্জন হলে জিন্নাহ এলেন। সুন্দর চেহারা। চোস্ত ইংরেজি বলেন। বললেন, ওয়ান নেশন, ওয়ান লিডার, ওয়ান রুল, ওয়ান স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ। কেউ কিছু বললেন না। আমি উঠে দাঁড়ালাম। বললাম, আপনি এটা বলতে পারেন না। এটা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। ইউ ডোন্ট ডিকটেট। আমার সান্ত্বনা আমি প্রতিবাদ করেছি। এরপর বের হয়ে আসলাম সবাই। এরপরই শুরু হয়ে যায় ভাষার আন্দোলন। জিন্নাহ করাচিতে ফিরে যান। কিছুদিনের মধ্যেই মারা যান। ফাতেমা জিন্নাহ তার মৃত্যুর জন্য আমাদের প্রতিবাদকে দায়ী করেন। এরপরেই একটা ঘটনা ঘটে। জিন্নাহর ঢাকা সফর নির্বিঘœ করতে অনেক রাজনৈতিক নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন গ্রেপ্তার করেন। কিছু নেতা বাইরে। নাজিমুদ্দিন বাইরের নেতাদের ডাকলেন। সে বৈঠকে নাজিমুদ্দিনের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন। সেখানে ৮ দফা চুক্তি হয়। জিন্নাহকে অপমান না করার অঙ্গীকার করেন নেতারা। আমি তখন ঢাকার বাইরে ছাত্র সংগঠিত করার কাজে ব্যস্ত। ফিরে এসে অবস্থা দেখে বুঝলাম এসব নেতা দিয়ে কিছু হবে না।

ইতোমধ্যে ‘৫০-এ লিয়াকত আলী খান মারা যান। খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। তিনি পূর্ব পাকিস্তানে এসে আবার ঘোষণা করেন উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। ১৯৪৭-এ কর্মচারীদের আন্দোলনের জেলে যাই। বেরিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলাম না। মুচলেকা দিতে বলায় মুচলেকা না দেয়ায় ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার হই। ১৯৫০ সালে ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবসের ২য় বার্ষিকীতে বদলি সবাই বড় কথা বলছেন। আমি সেখানে বলি, বড় বড় কথা বলে লাভ নেই। যদি কিছু করতে হয় তবে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। আমার কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। গঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি। প্রস্তাবক হিসেবে আমাকেই আহ্বায়ক করা হয়। আমি এবং ৫টি সংগঠনের ২ জন করে সদস্য নিয়ে ১১ সদস্যের কমিটি করা হয়। সংগঠনগুলো ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ, নিখিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, ছাত্র ফেডারেশন ইসলামিক ব্রাদার হুড এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন। আমার নাম প্রস্তাবের সাথে সাথে নেতাদের মধ্যে নিরুৎসাহ লক্ষ করি। আমি সে সব আমলে না এনে মিটিং ডাকি। আমি সংগ্রাম কমিটির ৫টি মিটিং করি। ফ্ল্যাগ ডে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এ উপলক্ষে সেক্রেটারিয়েটে দুই গেটে চাঁদা তুলি। কেউ কেউ বিরোধিতা করেন। সংগৃহীত হয় ৯২২ টাকা। আমি কোনো অপপ্রচারে পাত্তা না দিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাই। আমি পরিষদ সদস্যদের দেয়ার জন্য মেমোরেন্ডাম পাঠানোর কাজ শুরু হয়। মেমোরেন্ডামটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এভাবেই রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সর্বাত্মক রূপ নেয়। নাজিমুদ্দিন ‘৫২-তে জিন্নাহর কথায় আবার বলেন উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। ৪ ফেব্রম্নয়ারিতে আমরা ঘোষণা করি ২১ ফেব্রম্নয়ারি এসেম্বলি অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের। সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যদের স্বাক্ষর করা হবে বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে। এতে সর্বদলীয় পরিষদের জারিজুরি ফাঁস হয়ে যায়। তখন থেকেই মানুষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ২১ ফেব্রম্নয়ারি উত্তেজনা। এদিকে সরকার দুই কমিটি (বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি এবং সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ) বিরোধ বুঝতে পেরে ২০ ফেব্রম্নয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। জরুরিভিত্তিতে সর্বদলীয় সভা ডাকা হয় ২০ ফেব্রম্নয়ারি সেই মিটিংয়ে গেলাম। সেদিন মওলানা ভাসানী নোটিস না পাওয়ায় অনুপস্থিত থাকেন। আবুল হাশিম সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচ্য বিষয় একটি। ১৪৪ ধারা নিয়ে কী করা হবে। দীর্ঘ আলোচনা। আবুল হাশেম বললেন, আমাকে সভাপতি মানলে আমার কথা শুনতে হবে। দুটি সিদ্ধান্ত দাঁড়িয়ে যায়। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে একটি, আরেকটি ভঙ্গের বিপক্ষে। ভোটাভুটিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের বিপক্ষ জয়ী হয়। তাদের পক্ষে ১১টি ভোট পড়ে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৪টি। মেডিকেল কলেজের ভিপি গোলাম মাওলা, ফজলুল হক হলের ভিপি শামসুল আলম, যুবলীগের অলি আহাদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে আমার ভোট। আমি বলি দুটি অনিয়ম হয়েছে তাই এখন সিদ্ধান্ত নেবেন না। কাল করবেন। সিদ্ধান্ত হলো ছাত্রদের সামনে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের বিরুদ্ধে বলবেন শামসুল হক। পক্ষে বলব আমি। পরের দিন সেই ঐতিহাসিক ২১ ফেব্রম্নয়ারি, যার গর্ভে জন্ম বাংলাদেশের। ২১ ফেব্রম্নয়ারির জন্ম না হলে বাংলা রাষ্ট্রভাষা হয় না। বাংলা রাষ্ট্রভাষা না হলে বাংলার স্বাধীনতা হয় না। ২১ ফেব্রম্নয়ারির ছাত্র সমাবেশ সভাপতি গাজীউল হক। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সমীচীন হবে না। ওরা নির্বাচন দিয়েছে। আমরা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে ওরা নির্বাচন থেকে সরে যাবে। আমি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে বললাম, সব সময়ই তারা আমাদের এভাবে বাধা দিয়েছে। ভবিষ্যতেও দেবে। আমরা কি সেটা মেনে নেবো হাজার ছাত্রছাত্রী গর্জে উঠল ভাঙার পক্ষে। সিদ্ধান্ত হলো দলে দলে বাইরে যাওয়ার। মেডিকেল কলেজ গেটে ১০০ গজ দূরত্বের ব্যবধানে পৌঁছাতে পুলিশের বাধার মুখে ৩-৪ ঘণ্টা লাগে। মেডিকেল অভিমুখে হঠাৎ করে মানুষের ঢল নামে। এর মধ্যে আচমকা গুলি। মুখ থুবড়ে পড়ে বরকতসহ কয়েকজন। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের বারান্দায় বসে এই দৃশ্য দেখে কাঁদতেছিলাম। হঠাৎ ছাত্তার নামে একজন আমাকে বলল কর্মসূচি দিতে। আমি তাকে একটা কিছু লিখে নিয়ে আসতে বলি। সে মেডিকেল ছাত্র আহমদ রফিকের সহযোগিতায় একটি প্রতিবাদলিপি লিখে আনে। এটি ছাপিয়ে বিলি করা হয়। পরে ২২ ফেব্রম্নয়ারি গায়েবানা জানাজায় ও শোক মিছিলে আমি উপস্থিত ছিলাম। ২৩ ফেব্রম্নয়ারি রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের দ্বারা শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ২৬ ফেব্রম্নয়ারি এটি সরকার ভেঙে ফেলে।” ত্যাগী নির্লোভ সংগ্রামী এ মানুষটি আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন না। ভাষা সৈনিক আবদুল মতিনের অবদান জাতি নিশ্চয়ই চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ