শনিবার, মে ৪, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনজামায়াতের হরতালে বন্দরনগরীতে সাড়া মিলছেনা

জামায়াতের হরতালে বন্দরনগরীতে সাড়া মিলছেনা

যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জন্য ডাকা জামায়াতের হরতালে বন্দরনগরীতে সাড়া মিলছেনা। হরতাল শুরুর পর বৃহস্পতিবার ভোরে গণপরিবহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও সকাল গড়াতেই বেরিয়ে পড়েছে অসংখ্য যানবাহন। নগরীতে রিক্সা ও অটোরিক্সা চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক দেখা যাচ্ছে। সংখ্যায় কম হলেও টেম্পু, হিউম্যান হলার, সিটিবাসও রাস্তায় নেমেছে। কিছু কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও রাস্তায় বের হয়েছে। পণ্যবোঝাই ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানও কিছু কিছু চলাচল করছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর লাভ লেইন, ডিসি হিল, কাজির দেউড়ির মোড়, এনায়েতবাজার ঘুরে কর্মব্যস্ত মানুষের ছুটোছুটি দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহন কম থাকায় রাস্তায় গাড়ির চাপ কম দেখা গেছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (পশ্চিম) এস এম তানভির আরাফাত বলেন, ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার আর দূরপাল্লার যানবাহন ছাড়া সব যানবাহন চলছে। রাস্তায় কোন পিকেটিং নেই। হরতালে মানুষের সাড়াও নেই। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল শুরুর পর এ পর্যন্ত কোথাও কোন ঝটিকা মিছিল কিংবা নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো.হাছান চৌধুরী বলেন, হরতালে নাশকতা মোকাবেলায় আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তবে হরতালের সমর্থনে কোন কর্মসূচী নিয়ে জামায়াত-শিবিরের মাঠে নামার কোন খবর আমরা পাইনি। এদিকে হরতালে নাশকতা ঠেকাতে নগরীর মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। টহল দিচ্ছে বিজিবিও।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (সদর) মাসুদ-উল-হাসান বলেন, মাঠে অতিরিক্ত পুলিশ আছে। নগরজুড়ে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিজিবিও টহল দিচ্ছে।  সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে প্রাথমিকভাবে ৬ প্লাটুন অর্থাৎ ১৮০ জন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর জেলায় ১০ প্লাটুন অর্থাৎ তিন‘শ বিজিবি সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার একেএম হাফিজ আক্তার বলেন, স্পর্শকাতর উপজেলায় বিজিবি মোতায়েন আছে। সব উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ আগে থেকেই মোতায়েন আছে। নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়মিত ও অতিরিক্ত পুলিশসহ প্রায় আড়াই হাজার পুলিশ নগরীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলায়ও প্রায় দু’হাজার অতিরিক্ত পুলিশ হরতাল উপলক্ষে দায়িত্ব পালন করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী অফিস, শিল্প কারখানায় হরতালের কোন প্রভাব চোখে পড়েনি। নগরীর প্রায় সব এলাকায় সকালে স্বাভাবিক নিয়মে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে। বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জেও দোকানপাট খুলেছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে পণ্য উঠানামা স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। এদিকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল কম থাকলেও ট্রেন স্বাভাবিক শিডিউল অনুযায়ী চলছে। নগরীতে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ