মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতি১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইয়ে যে কথা লিখেছেন সেটিই সত্য : মির্জা ফখরুল

১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইয়ে যে কথা লিখেছেন সেটিই সত্য : মির্জা ফখরুল

মুক্তিযুদ্ধের উপ প্রধান এ কে খন্দকারের বক্তব্যে আওয়ামী লীগের গায়ে আগুন ধরে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয়  কার্যালয়ে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইফুর রহমানের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি অর্থাৎ ডেপুটি কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার তার ‘১৯৭১ ভেতরে বাইরে’ বইয়ে যে কথা লিখেছেন সেটিই সত্য। জনগণ সেটিই বিশ্বাস করে।  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ যে এতদিন মিথ্যাচার করে আসছে তা এ কে খন্দকারের লেখার মধ্য দিয়ে ফাঁস হয়ে গেছে। সে কারণেই তারা আজ  দেশদ্রোহীতার অভিযোগে এ কে খন্দকারের বিচারের দাবি তুলছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এক ব্যক্তি ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে আর কারো অবদান স্বীকার করে না। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যিনি স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছেন সেই তাজউদ্দীন আহমেদকে তারা স্বীকার করতে চান না। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীকে স্বীকার করতে তাদের কষ্ট হয়। এম জলিলের অবদান তারা অস্বীকার করেন। বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীকে কেবল অস্বীকারই করেন না, তাকে বিতারণ করতে চান। সর্বোপরি স্বাধীনতার মহান ঘোষক জিয়াউর রহমানের অবদানকে তারা বেমালুম ভুলে যান।

তখনকার বাস্তবতায় ‘জয় পাকিস্তান’ ঠিক ছিল মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, আমরা যারা ৭ মার্চের ভাষণ সেখানে উপস্থিত থেকে শুনেছি তারা জানি বঙ্গবন্ধু তার ভাষণ শেষ করেছিলেন ‘জয় বাংলা, জয় পাকিস্তান’ বলে। তখনকার বাস্তবতায় এটি ঠিক ছিলো। এটা বললে কাউকে খাটো করা হয় না, কেউ খাটো হন না। কিন্তু, যেহেতু আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ করেনি, তারা সবাই কলকাতায় পালিয়ে গিয়েছিলো, সেহেতু ইতিহাসের এ সত্য তারা মেনে নিতে চায় না- বলেন তিনি।  একে খন্দকারের বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, তখনকার আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিলো না। তারা প্রস্তুত থাকলে ২৫ মার্চ এত মানুষকে জীবন দিতে হতো না। আজ যখন এই কথাগুলো বলা হয়, তখন তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়ে যায়।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রয়াত সাইফুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতির সূচনা করেছিলেন তা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন এম সাইফুর রহমান।

সাইফুর রহমানকে সারা জীবন মনে রাখা উচিত মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার যে বিপ্লবী চিন্তা তা বাস্তবায়নে সব চেয়ে বড় অবদান সাইফুর রহমানের। তিনি বলেন, সরকার  আজ যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে চিৎকার করছে। তার সূচনা  করে গেছেন সাইফুর রহমান। অথচ সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হলে সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি শোক বাণী পর্যন্ত দেননি। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সাইফুর রহমানের মরদেহ দেখতে আসেনি। কিন্তু ভারতের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং সাইফুর রহমানের উদ্দেশ্যে শোক বাণী দিয়েছেন।

ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মাওলানা এম এ মালেকের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে অন্যদের মধ্যে শরিক ছিলেন, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, সহ দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ