শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিবঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জয় বাংলা বলেই শেষ করেছিলেন

বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জয় বাংলা বলেই শেষ করেছিলেন

এ কে খন্দকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জয় বাংলা বলেই শেষ করেছিলেন। ৭ মার্চের ভাষণের দিন আমরা মঞ্চেই ছিলাম। আমরা মঞ্চে থেকে জানলাম না, অথচ একে খন্দকার সাহেব তার লেখায় বললেন- বঙ্গবন্ধু বক্তব্য শেষে নাকি জয় পাকিস্তান বলেছেন! এটা উনি কোথায় পেলেন?

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ৫২ সাল থেকে ৬৯ সাল পর্যন্ত এ কে খন্দকার পাকিস্তানে ছিলেন। এ দেশে কী হয়েছে তা তিনি জানতেন না। এ কে খন্দকারই বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রেডিও স্টেশনে গিয়ে খুনি মোশতাককে সমর্থন দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে এ সব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ। এ সময় সংসদে সভাপতিত্ব করেন ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। একে খন্দকারের লেখা বই ‘১৯৭১: ভেতরে বাইরে’ নিয়ে সংসদে বিতর্কে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, তার (এ কে খন্দকার) লেখায় রয়েছে,  আমাদের যুদ্ধের নাকি প্রস্তুতি ছিল না! তবে কি হাওয়ার ওপর দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে? বাস্তবতা হচ্ছে ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধের সব নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন। যুদ্ধের সময় কোথায় থেকে অস্ত্র আসবে, নেতারা কোথায় থাকবেন- সেটিও আগেই বলে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তোফায়েল আহমেদেআরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা না দিলে আগরতলা মামলা হতো না, মামলা না হলে, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান না হলে, বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেতেন না, ৭০-এর নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।

মেজর সিদ্দিক সালেকের ‘উইটনেস টু স্যারেন্ডার’ বইটি পড়ার জন্য এ কে খন্দকারকে পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এসব লিখে অন্যদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এ কে খন্দকার কেন বইটি লিখেছেন, কোন সময়টা বেছে নিয়েছেন- তা আমি জানি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সবারই সতর্কতার সঙ্গে কথা বলা উচিত।

  • বিষয়:
  • top
আরও পড়ুন

সর্বশেষ