রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ষষ্ঠ দিনেও চলছে সন্ধান, এখনো নিখোঁজ ১০৮

ষষ্ঠ দিনেও চলছে সন্ধান, এখনো নিখোঁজ ১০৮

পদ্মায় লঞ্চ ডুবির প্রথম দিন থেকে দুই তীরে নিখোঁজদের সন্ধানে স্বজনদের ভিড় থাকলেও শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কাউকেই দেখা যায়নি মাওয়া ঘাটে। স্বজনরাও যেন ছেড়ে দিয়েছেন প্রিয়জনের লাশ পাওয়ার আশা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা গেলেও সম্মিলিত বাহিনী সর্বশক্তি নিয়োগ করেও শনাক্ত করতে পারেনি ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চটিকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ১০৮ জন।

অন্যদিকে, উদ্ধার হওয়া লাশগুলোও শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। উদ্ধার হওয়া ৪১ লাশের মধ্যে ১৭ জনকেই শনাক্ত করা যায়নি। এই ১৭ জনের ১২ জনকে শুক্রবার ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দাফন করা হয়েছে। মাদারীপুর জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এদের শিবচর কবরস্থানে দাফন করা হয়। বাকি চারটি মরদেহ রাখা হয়েছে পাচ্চর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। কিন্তু লাশের অবস্থা এমন যে স্বজনদের পক্ষেও শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

দিন যত গড়াচ্ছে লাশ উদ্ধারের হারও কমছে। শুক্রবার সারাদিন পুর্ণ শক্তি নিয়োগ করে উদ্ধার করা গেছে মাত্র ৪ লাশ। সর্বশেষ শনিবার ভোররাতে ভোলার দৌলতখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি ছেলে শিশুর (৫) লাশ। প্রায় আড়াইশ’ যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ নামক লঞ্চের উদ্ধার তৎপরতা শনিবার ৬ষ্ঠ দিনে গড়িয়েছে।

শুক্রবার সারাদিন উদ্ধার তৎপরতা চালাতে ব্যবহৃত হয় জরিপ-১০, কান্ডারী-২, তিস্তা, সন্ধানী, নৌ-বাহিনীর রেসকিউ বোট, পেট্রোল ক্রাফট, ফায়ার সার্ভিসের রেসকিউ বোট এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বোট। পূর্ণ শক্তি প্রয়োগের পরও পিনাকের খোঁজ না পেয়ে রাতেও অব্যাহতভাবে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা করা হয়। রাতভর পিনাক-৬ এর খোঁজে অনুসন্ধানে নিযুক্ত করা হয় সন্ধানী, তিস্তা, তুরাগ, ববিথ ও জরিপ -১০ নামে উদ্ধারকারী ৫টি জাহাজ। কিন্তু পাঁচ জাহাজের মিলিত অনুসন্ধানেও পদ্মায় তলিয়ে যাওয়া লঞ্চের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ক্যাপ্টেন নজরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও এখন পর্যন্ত নিখোঁজ পিনাক-৬ এর খোঁজ মেলেনি। তবে আমরা এখনো উদ্ধার কাজ চালিযে যাচ্ছি। লঞ্চটি উদ্ধারের জন্য শুক্রবার সকালে জরিপ-১০ নামে একটি জাহাজ কাজ শুরু করেছে। এই জরিপ-১০ জাহাজে আধুনিক প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে মাল্টি ভিম সাইড স্ক্যানার, সাব বোটম প্রোফাইল, সাইড স্ক্যানার। তিনি বলেন, নদীতে স্রোত বেশি থাকার কারণে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির কোনো আলামত খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে সম্ভাব্য স্থানে আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। এতকিছুর পরও এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা গেছে মাত্র ৪১ লাশ। যার বেশির ভাগই উদ্ধার করা হয়েছে বিভিন্ন জেলার স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১০৮ জন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ