স্পোর্টস ডেস্ক : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনায় তিন ক্রিকেটার গ্রেফতার হওয়ার পর ভারতীয় পুলিশ সূত্র বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন খ্যাতনামা ক্রিকেটারও জড়িত। সিএনএন আইবিএনকে বুধবার পুলিশ সূত্র এই তথ্য জানালেও ক্রিকেটারটির নাম জানায়নি। ইন্টারনেট
তবে এটুকু জানিয়েছে যে, বাংলাদেশি ওই ক্রিকেটার কখনোই আইপিএলএ খেলেনি। স্পট ফিক্সিংয়ের এই ঘটনার তদন্ত নাটকীয় মোড় নিয়েছে বুধবার। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)এর সভাপতি এন শ্রীনিবাসনের জামাতা গুরুনাথ মিয়াপ্পনও ক্রিকেট জুয়ার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। গুরুনাথ মিয়াপ্পন চেন্নাই সুপার কিংস দলেরও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নাম আসাটা এই তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি। তবে ভারতীয় পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে, বাংলাদেশি ক্রিকেটারটি বর্তমানে ভারতে না থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্র ধারণা করছে এই চক্রের মূল হোতা সুনীল দুবাই নামে সমধিক পরিচিত সুনীল অভিচান্দানি রেলওয়ের ক্রিকেটার বাবুরাও যাদবকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহের শেষ দিকে বাবুরাওকেও গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ২০০৬ সালে ভারতীয় রেলওয়ে দলে যোগ দেয়ার আগে রঞ্জি ট্রফিতে তিনি বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের হয়ে খেলতেন। গ্রেফতারের পরই তাকে রেলওয়ে থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাজস্থান রয়্যালসের ক্রিকেটার অজিত চান্ডিলার বিরুদ্ধে গত বুধবার আরো অনেক তথ্য প্রমাণ পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। পাতিয়ালার ক্রিকেট জুয়াড়ি দীপক কুমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল চান্ডিলার। পুলিশ সূত্র সিএনএন আইবিএনকে জানিয়েছে, রাজস্থান রয়্যালসের ১৭মে তারিখের ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য চান্ডিলার সঙ্গে ৪ এপ্রিল চন্ডিগড়ে যোগাযোগ করে দীপক কুমার। চান্ডিলা স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য ১৫ লাখ ভারতীয় রূপী অগ্রিম গ্রহণ করলেও ম্যাচের আগেই গ্রেফতার হন।