বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, টেলিভিশন ও বেতারের জন্য নীতিমালা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, টেলিভিশন ও বেতারের জন্য নীতিমালা প্রয়োজন : প্রধানমন্ত্রী

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রত্যেক দেশেই সম্প্রচার নীতিমালা আছে। সমাজের জন্য ক্ষতিকারক ও নোংরা কিছু প্রচার রোধে আমাদেরও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম, টেলিভিশন ও বেতারের জন্য নীতিমালা প্রয়োজন।’ সংবাদপত্রের নীতিমালা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে চাই না। তবে আশা করব সমাজ, পরিবার ও দেশের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে গণমাধ্যম কাজ করে যাবে।’ রোববার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকতে হবে, কিন্তু খবর ও মতামতে সব সময়ই বিবেক-বুদ্ধি এবং সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, অনলাইন মিডিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং দ্রুত এর বিস্তার লাভ করছে। সামাজিক ওয়েবসাইটগুলোর ব্যবহারও দিন দিন বাড়ছে। তবে প্রকৃত সামাজিক সুবিধা গ্রহণে এসব ব্যবহারে আরও সচেতন হতে হবে। এর অপব্যবহার থেকে সমাজ, শিশু ও তরুণদের রক্ষা করতে হবে। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরও তত্পর হওয়ার নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। তথ্যসচিব মর্তুজা আহমদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা থাকা আবশ্যক। তা হলেই তাঁর সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যেই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবে। শেখ হাসিনা বেসরকারি বেতার ও টিভি চ্যানেলের অনুমোদন প্রসঙ্গে বলেন, তাঁর সরকার অবাধ তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত ও গঠনমূলক সমালোচনার লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে প্রথম বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেয়। বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসন প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে তাঁর সরকার একটি কমিশন গঠন করে। কমিশন কাজও করতে থাকে। তখনই গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ও তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করাসহ দেশের বেকার সমস্যা লাঘবের বিষয়টি মাথায় আসে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অর্থ মাধুরী মিশিয়ে লেখা নয়

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু রাজধানীতেই ৩৫৭টি দৈনিকসহ সারা দেশে আট শতাধিক দৈনিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা যায়, মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেকে সংবাদ লিখেই যাচ্ছেন। তাতে বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক কোনো তথ্য নেই। তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অর্থ শুধু মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখে যাওয়া নয়, বস্তুনিষ্ঠ, গঠনমূলক ও মননশীল চর্চার মাধ্যমে মিডিয়াকে এই স্বাধীনতা ভোগ করতে হবে। এটি পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব তথ্য মন্ত্রণালয়ের। তিনি বলেন, স্বাধীনতা থাকা ভাল, তবে সেই সঙ্গে বোধটাও থাকতে হবে। যেন ওই সংবাদের প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধ ও শিশুদের উপরে গিয়ে না পড়ে।
সাংবাদিক সহায়তা ভাতা চালু করা হয়েছে উল্লে¬খ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্য একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার ফলের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক ও যুগোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করায় পাসের হার ৯৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আগে পাসের এ হার ছিল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ