শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদইন্টারভিউতের বছরে শেষ হয়নি রমনা বটমূলে জঙ্গিদের বোমা হামলার বিচার

তের বছরে শেষ হয়নি রমনা বটমূলে জঙ্গিদের বোমা হামলার বিচার

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

তের বছরে শেষ হয়নি রমনা বটমূলে জঙ্গিদের বোমা হামলার বিচার কার্যক্রম। ২০০১ সালের পহেলা বৈশাখ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০জন হত্যা, প্রায় অর্ধশত জনকে আহত করে জঙ্গিগোষ্ঠী। ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যা মামলার দীর্ঘ সূত্রিতার জন্য পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেন আসামীপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। তবে নৃশংস এই হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর।  হাকিম মোড়লের তিন পর্বের ধারাবাহিক রিপোর্টের শেষ পর্ব।

ধর্মীয় মূলবোধের দোহাই দিয়ে তের বছর আগে রমনায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালিয়ে ১০জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এতে আহত হয় প্রায় অর্ধশত। পরে মামলা হলে সাতজন তদন্ত কর্মকর্তার হাত ঘুরে সাত বছর পর আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেন সিআইডির পরিদর্শক আবু হেনা ইউসুফ। ২০০১ সালে দুটি মামলা হয় একটি হত্যা মামলা অপরটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা। ২০০৮ সালে ২৯শে নভেম্বর হত্যা মামলায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয়া হয়। ২০০৯ সালে ১৬ই এপ্রিল চার্জ গঠন করে আদালত।১৪জন আসামির মধ্যে জেল হাজতে রয়েছেন- মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আব্দুল হান্নান সাব্বির, শাহদাত উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আব্দুর রউফ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া ও আরিফ হাসান।
জামিনে রয়েছেন-মাওলানা আকবর হোসাইন পলাতক রয়েছেন- হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা তাজ উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই, মাওলানা আবু বক্কর ও মুফতি শফিফুর রহমান।৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে এপর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করেছে আদালত।

এরইমধ্যে যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। তবে নতুন করে তদন্ত— কর্মকর্তাকে জেরা শুরু করায় আবারো পিছিয়ে যায় মামলার কার্যক্রম। আসামী পক্ষের আইনজীবী জানান, রাষ্ট্রপক্ষের গড়িমশির কারণে বিলম্ব হচ্ছে। তবে বিচার কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার আশ্বাস রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর। সুনির্দিষ্টভাবে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সব আসামীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড কামনা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

(রমনা ট্রাজেডির কালজয়ী সাক্ষী শর্তবর্ষী এই বটবৃক্ষ একদিন বিলিন হয়ে যাবে, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় যে কলঙ্ক তীলক রচিত হয়েছে তা মূছে ফেলা সম্ভব হবে না। তবে জঘন্য এই হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচারের মধ্যদিয়ে দায়মুক্ত হবে একটি কলঙ্গময় অধ্যায়ের)।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ