রবিবার, মে ৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’...

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার আহবান

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলমত নির্বিশেষে সকলকে মিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন। রোববার বঙ্গবন্ধুর ৯৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর মমতা ছিল অপরিসীম। তাই তাঁর জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে। বাণীতে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করার শপথ নিতে হবে।

শিশুদের কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠন, দেশপ্রেম জাগ্রত করা এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে তাদেরকে প্রিয় মাতৃভূমি ও জাতির পিতার সংগ্রামী জীবনের প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে।

প্রদানমন্ত্রী বলেন, বাল্যকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন নির্ভীক, অমিত সাহসী এবং মানবদরদি। তিনি ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ও প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী। বঙ্গবন্ধু তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ঘটে। তিনি ছিলেন বিশ্বের সকল নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায় ও মুক্তির প্রতিভূ। তাঁর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব সমগ্র জাতিকে একসূত্রে গ্রথিত করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন স্বাধীন বাংলাদেশ পুনর্গঠন কাজে আত্মনিয়োগ করেন, তখনই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও উন্নয়নের ধারাকে নস্যাৎ করে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও উন্নয়নকে স্তব্ধ করে দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সামরিক সরকারগুলো বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পুনর্বাসিত করে। জনগণ ভাত ও ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়।

তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীদের প্রচলিত আদালতে বিচার ও রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি কিছুটা হলেও দায়মুক্ত হয়েছে। ফাঁসির আদেশপ্রাপ্ত অবশিষ্ট পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন করা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ