বুধবার, মে ১, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনযমুনা অয়েলের ট্যাংকারে আগুন

যমুনা অয়েলের ট্যাংকারে আগুন

চট্টগ্রাম অফিস (বিডি সময় ২৪ ডটকম)

নগরীর পতেঙ্গায় রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি যমুনা অয়েলের একটি ট্যাংকারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ওই ট্যাংকারে কর্মরত নয় শ্রমিককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধ শ্রমিকেরা হলেন- মো. লোকমান(৫৫), খায়ের আহমেদ(৫০), জবিহ(৪০), জামশেদ(৪৫), জামাল(৪৫), হাসান(৫০), নাজিম(৪০), শামশু(৫০) ও আবদুর রহিম(৩০)।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন  বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০মিনিটের দিকে নগরীর পতেঙ্গা যমুনা অয়েলের টার্মিনালে ট্যাংকারে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় ট্যাংকার থেকে তেল বের হয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬টা ৪০মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’

তবে ওয়েল্ডিং করার কথা অস্বীকার করেন যমুনা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলিমুদ্দিন আহমেদ। তিনি  বলেন,‘ট্যাংকার পরিস্কার করার আগে ওয়েল্ডিং হবে কোথা থেকে। তেল এক ট্যাংকার থেকে অন্য ট্যাংকারে স্থানান্তরের সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোথা থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের বেডে শুয়ে দগ্ধ শ্রমিকেরা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তাড়াতাড়ি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বারবার চিকিৎসকদের আকুতি জানাতে দেখা গেছে।

আবদুর রহিম নামে দগ্ধ এক শ্রমিক  বলেন,‘তেল এক ট্যাংকার থেকে অন্য ট্যাংকারে নেওয়ার সময় বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিক আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ১১নং ট্যাংকারের ছাদও উড়ে যায়। দগ্ধরা আগুনের মাঝখানে পড়ে যাওয়ায় বের হতে পারিনি। আমি এক পাশে থাকায় তাড়াতাড়ি সরে যেতে পেরেছি। তারপরও দু’ পা পুড়ে গেছে।’

হাসপাতালের বেডে শুয়ে দগ্ধ এক শ্রমিক কাতরাতে কাতরাতে বলছেন,‘ভাই টাকা যা লাগে দিব। একটু তাড়াতাড়ি ওষুধ দে না। যন্ত্রণায় তো মরে যাচ্ছি। এখানে কি কোন এসি নেই। একটু ঠাণ্ডা কিছু দে না ভাই।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার শহীদুল গণি  বলেন,‘দগ্ধ শ্রমিকদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অবহেলা যাতে না হয় আমি নিজে উপস্থিত থেকে তদারক করছি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।’

বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিশমা ইসলাম ে বলেন,‘কত শতাংশ পুড়ে গেছে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে অধিকাংশ শ্রমিকের শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ