বুধবার, মে ১৫, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েএবারও থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

এবারও থাকছে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

image_46743পুঁজিবাজারকে চাঙা করতে নতুন বাজেটে থাকছে বেশকিছু প্রণোদনা প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ। ব্যক্তিশ্রেণির করদাতার শেয়ার লেনদেন থেকে অর্জিত আয়কে করমুক্ত রাখার বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত। বিনিয়োগে কর রেয়াত বাড়ানো ও শেয়ার প্রিমিয়ামের ওপর কর প্রত্যাহার করা।

 বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায়  অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব প্রণোদনা প্রস্তাব করেন। মুহিত বলেন, দেশের পুঁজিবাজারকে সংস্কার ও সংহত করার চেষ্টা সফল হয়েছে।পুঁজিবাজারে ‘কিছুটা’ স্থিতিশীলতাও এসেছে।
 প্রণোদনার মধ্যে রয়েছে- আয়ের ৩০ শতাংশ বিনিয়োগ করলে এখন থেকে আয় বা করপোরেট করের ওপর ১৫ শতাংশ কর রেয়াত পাওয়া যাবে।   ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগের ওপর কর রেয়াত ২০ শতাংশ খেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। আর ব্যক্তিশ্রেণির সর্বোচ্চ বিনিয়োগ সীমা এক কোটি থেকে বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকা করা হয়েছে।
শেয়ারের অভিহিত মূল্যের প্রিমিয়ামের ওপর বিদ্যমান ৩ শতাংশ কর এবং বন্ড বিক্রির সময় উৎসে আয়কর বিলোপ করা হয়েছে। আর মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ওপর ১৫ শতাংশ কর রেয়াত দেয়া এবং করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০১-০২ থেকে ২০০৫-০৬ পর‌্যন্ত আওপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকার পরিমাণ ছিল ৪৩০ কোটি। এর বিপরীতে ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত উত্তোলিত টাকার পরিমাণ ৪ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।
একই সময়ে রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩০২ কোটি টাকার বিপরীতে বর্তমানে ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা উত্তোলিত হয়েছে। মুহিত বলেন, ‘বস্ত্রখাতে বিশেষ করে পোশাক শিল্পে যে ব্যাপক অগ্রগতি হচ্ছে তার অন্যতম উপাদান হচ্ছে পুঁজিবাজার থেকে পুঁজি উত্তোলন’।
আরও পড়ুন

সর্বশেষ