রবিবার, মে ১২, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......নয়াপল্টন নেতা-কর্মী শূন্য, প্রস্তুতিও চোখে পড়েনি

নয়াপল্টন নেতা-কর্মী শূন্য, প্রস্তুতিও চোখে পড়েনি

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে যেকোনো মূল্যে সমাবেশ করা ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। তবে আজ সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় জোটের কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। সমাবেশ অনুষ্ঠানের কোনো প্রস্তুতিও চোখে পড়েনি।

সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটক ভেতর থেকে তালা দেওয়া অবস্থায় দেখা গেছে। কার্যালয়ের সামনে একটি জলকামান ও একটি প্রিজনভ্যান রাখা হয়েছে। কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সদস্যরা অবস্থান করছেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে সড়কের দুই প্রান্তে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।

নয়াপল্টনে ঢোকার সব পথে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। আশপাশের সব গলিতেও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সেসব জায়গায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। ওই এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। সাধারণ মানুষ এসব এলাকা দিয়ে হেঁটে পার হতে পারছেন। তবে সবাইকে তল্লাশি করা হচ্ছে। কাউকে কোনো স্থানে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গাড়ি নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের ওই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আজ ভোর থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় ১৮-দলীয় জোটের কোনো নেতা-কর্মীকে দেখা যায়নি। নয়াপল্টনে সমাবেশ অনুষ্ঠানের কোনো প্রস্তুতিও নেই। নেই কোনো মঞ্চ বা মাইক।

আগামী ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে আজকের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি বা গণতন্ত্রের অভিযাত্রা। বিএনপি জানিয়েছে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে আজ সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে পল্টনমুখী অভিযাত্রা হবেই। এমন বক্তব্য, ভিডিও বার্তা, সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বাইরে এই কর্মসূচি সফল করতে আর কোনো দৃশ্যমান তত্পরতা চালাতে পারেনি বা দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াত জোটের। গত মঙ্গলবার এই কর্মসূচি ঘোষণার পর দৃশ্যমান সব প্রস্তুতি ছিল মূলত পুলিশের এবং তা এই ‘অভিযাত্রা’ ঠেকানোর জন্য।

সপ্তাহে দু-এক দিনের বিরতি দিয়ে এক মাসের ‘সহিংস’ অবরোধ শেষে ঢাকায় গণতন্ত্রের অভিযাত্রার ডাক দিয়েছিল বিএনপি। সারা দেশ থেকে এসে আজ সেই অভিযাত্রার শেষ গন্তব্য হওয়ার কথা ছিল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। কিন্তু এই অভিযাত্রা মোকাবিলা করতে গিয়ে গত দুই দিন সরকারই সড়ক, রেল ও নৌপথ কার্যত অবরোধ করে ফেলে।

বিরোধী জোটের টানা অবরোধের পীড়িত, আতঙ্কিত জনগণ গত দুই দিনে আবার চরম বিড়ম্বনার শিকার হয়। এর সঙ্গে দেশব্যাপী ধরপাকড়, ঢাকায় আগেই বিরোধী দলের কর্মীরা পৌঁছে যাওয়ার আতঙ্কে শহরজুড়ে তল্লাশি এবং অভিযাত্রাকারীদের সম্ভাব্য ‘প্রতিক্রিয়া’ নিয়ে উদ্বিগ্ন-উত্কণ্ঠিত মানুষ। গত তিন দিনে সারা দেশে এক হাজারের বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঁদের অধিকাংশ বিএনপি-জামায়াতের কর্মী।

বিএনপির নেতারা আশঙ্কা করছেন, সরকার হয়তো খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে বের হতে না-ও দিতে পারে। খালেদা জিয়া নিজেও এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। গত শুক্রবার এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, তিনি আসতে না পারলেও দলীয় নেতা-কর্মীরা যেন কর্মসূচি সফল করেন।

তবে গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আজকের সমাবেশ হবেই এবং তাতে খালেদা জিয়া যোগ দেবেন। সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে তাঁদের কর্মসূচি শুরু হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ