সাইবার ক্রাইম রোধে একটি ‘মনিটরিং সেল’ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সাইবার ক্রাইম মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত ও বিপদগামী করে তুলছে। পাশাপাশি অপপ্রচার চালিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় অন্তরায় সৃষ্টি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।”
সম্প্রতি ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে আপত্তিকর ও অবমাননাকর ছবি প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় উস্কানীসহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। শামসুল হক টুকু বলেন, “সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণ ও তাদের প্রযুক্তিগতভাবে দমন করার জন্য মনিটরিং সেল কাজ করবে।” এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ডিজি এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে সভা করা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
মন্ত্রী জানান, “মনিটরিং সেল সাইবার ক্রাইম এবং অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। যাতে সাইবার ক্রাইম তথা প্রযুক্তিগত অপপ্রচার বন্ধ করতে পারে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত না করতে পারে।” মনিটরিং সেল অপরাধীদের চিহ্নিত করার পর অপরাধীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান টুকু।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, জঙ্গীবাদ ও সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিজ্ঞাপণ চিত্র, ডকুমেন্টারি, শর্টফিল্ম নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। করপোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির (সিএসআর) আওতায় এগুলো বেসরকারি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে এ সংক্রান্ত আইন বা বিধান প্রণয়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
‘জঙ্গীবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার কমিটি’র ওই সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক, র্যাব, বিজিবি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।