বুধবার, মে ১, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়অবশেষে বাদ পড়লেন পুরনো ৩০ মন্ত্রী

অবশেষে বাদ পড়লেন পুরনো ৩০ মন্ত্রী

ষ্টাফ  রিপোর্টার  (বিডিসময়২৪ডটকম)

অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাদ পড়লেন পুরনো ৩০ মন্ত্রী। বাদ পড়াদের মধ্যে ১৬ জন মন্ত্রী, আর ১৪ জন মহাজোট সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। এদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব চালিয়ে আসা দীলিপ বড়ুয়া ছাড়া বাকি সবাই আওয়ামী লীগের। মন্ত্রী পদে না থাকলেও আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসা ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও দীলিপ বড়ুয়া মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে নির্বাচনকালীন সরকারে থাকছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মহীউদ্দীন খান আলমগীর, পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মনি এবং দপ্তরবিহীন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তও পদ হারিয়েছেন।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের  সাহারা খাতুন, ভূমির রেজাউল করিম হিরা, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আবুল কালাম আজাদ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এনামুল হক মোস্তফা শহীদ ও বিমানমন্ত্রী ফারুক খানও আর পদে নেই।

খাদ্যমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মো. আফসারুল আমীন,  স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদও বাদ পড়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, এ বি তাজুল ইসলাম, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, আহাদ আলী সরকার, মো. শাহজাহান মিয়া ও আব্দুল মান্নান খান। যথাক্রমে স্থানীয় সরকার, ভূমি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ধর্ম এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তারা।

মো. মোতাহার হোসেন, মোহাম্মদ এনামুল হক, মজিবুর রহমান ফকির, ওমর ফারুক চৌধুরী, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুল হাই এবং পাঁচ মাস আগে মন্ত্রিসভায় আসা মেহের আফরোজও আর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে নেই। তারা যথাক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, শিল্প, পানি সম্পদ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন।

নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠন করেন আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা। এরপর গত বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দফা বড় রদবদল আসে মন্ত্রিসভায়। গত জুনে শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকারের দায়িত্ব নেয়ায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মেহের আফরোজ।

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী নির্বাচনকালীন ‘সর্বদীয়’ সরকার গঠনে গত ১১ নভেম্বর শেখ হাসিনার হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন ৩১ জন মন্ত্রী ও ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী। এরপর ১৮ নভেম্বর শপথ নেন নতুন ছয় মন্ত্রী ও দুই প্রতিমন্ত্রী।

মন্ত্রিসভার পুরনো সদস্যদের মধ্যে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের পদত্যাগপত্র পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে। বৃহস্পতিবার এর গেজেট প্রকাশ করা হয়।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২১ জন মন্ত্রী ও ৭ জন প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে নির্বাচনকালীন এই সরকারের আকার দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। এছাড়া মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে থাকছেন ১০ জন।

সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচনের সময় এই সরকারই দায়িত্বে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার সংসদের সমাপনী বক্তৃতায় জানিয়েছেন,  নির্বাচনকালীন সরকার পরিচালনার বিষয়ে রাষ্ট্রপতির অনুমতি তিনি পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ