নগদ টাকার ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি লেনদেনকে আরও সহজ করতে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর সেই ব্যাংকের লাইসেন্স পেতে আবেদন করেছিল ৫২টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড মিটিংয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স পেতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগদ ডিজিটাল ব্যাংক, কোরি ডিজিটাল ব্যাংক, বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক, ডিজি-টেন, ডিজিটঅল, স্মার্ট ডিজিটাল ব্যাংক, জাপান-বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক এবং নর্থ ইস্ট ডিজিটাল ব্যাংক।
চলতি বছরের ১৪ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি ডিজিটাল ব্যাংক নির্দেশিকা প্রকাশ করে। সে নির্দেশিকা অনুসারে, এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিগতভাবে কোনো লেনদেন হবে না।
নির্দেশিকায় বলা হয়, ডিজিটাল ব্যাংকে প্রত্যেক স্পনসরের সর্বনিম্ন শেয়ারহোল্ডিং হবে ৫০ লাখ টাকা (সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা ১২.৫ কোটি টাকা)। ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালিত হবে ব্যাংকিং কোম্পানি আইনের আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত গাইডলাইন বা নির্দেশিকা অনুসারে।
এছাড়া ৫ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ারধারী একটি স্পনসরকে যৌথভাবে ক্যাপিটাল মেইনটেন্যান্স চুক্তি (সিএমএ) স্বাক্ষর করতে হবে এবং ব্যাংকের ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে কমে গেলে নানাভাবে বাড়তি মূলধন যোগান দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ ধরনের মূলধন যোগান দিতে না পারলে প্রয়োজনীয় মূলধন যোগগানের সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্পনসর গ্রুপের ব্যক্তিদের ওপর বর্তাবে।