মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপজামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ: আপিল প্রস্তুতির দুমাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ

জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ: আপিল প্রস্তুতির দুমাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ

দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে দলটিকে চূড়ান্তভাবে দুমাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে জামায়াতের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।

পরে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেন, মামলাটি শুনানি করার জন্য আমরা অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছি। আদালত তাদেরকে অনেকবার সময় দিয়েছেন। তারা গড়িমসি করে সেটি প্রস্তুত করছেন না। আজকে (মঙ্গলবার) ফাইনাল আদেশ দিলেন; যদি আট সপ্তাহের মধ্যে ফাইল (আপিলের সারসংক্ষেপ) শুনানির জন্য প্রস্তুত না করেন তাহলে ডিফল্ট (খারিজ) হয়ে যাবে।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী মতিউর রহমান আকন্দ জানান, ‘আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এটি ছিল। আদালত আগামী দুমাসের জন্য সময় দিয়েছেন। এ দুমাসের মধ্যে কনসাইজ স্টেটমেন্ট (আপিলের সারসংক্ষেপ) জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আর কোনো সময় দেবেন না বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আদালতের আদেশ অনুসারে মামলার শুনানিতে জামায়াতে ইসলামী অংশ নেবে। আশা করি, দল নিবন্ধন ফিরে পাবে। আর দুমাসের মধ্যে আমরা সারসংক্ষেপ প্রস্তুত করতে পারবো। আমাদের প্রধান আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। এছাড়াও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক ও এহসান সিদ্দিক আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তারা এ মামলাটি পরিচালনা করবেন।

একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের জারি করা রুলের চূড়ান্ত রায়ে জামায়াতকে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট দেয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

ওই সময় সংক্ষিপ্ত রায়ে আদালত বলেন, এ নিবন্ধন দেয়া আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত। একই সঙ্গে আদালত জামায়াতকে আপিল করারও অনুমোদন দিয়ে দেন। তবে এ রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন একই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ