সাধারণ ডিগ্রী পাশ সোলায়মান চৌধুরী তার প্রমোশনের জন্য নেওয়া এমবিএ ডিগ্রী নিয়ে বিতর্ক আছে। ইসলামি ব্যাংকের বিরুদ্ধে তার মামলা, ছেলে মেয়েদের অবস্থা, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণপদে মেয়ের জামাইদের অবস্থান, অবসরের পর আবুল খায়ের গ্রুপে তার ডিরেক্টরশীপ, চট্টগ্রামের একটা স্কুলের ডিরেক্টরশীপ নিয়ে প্রশ্নগুলো এখন সামনে আসছে নতুন দল গঠন করার পরেই।
সোলায়মান চৌধুরী সংস্থাপন সচিব, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। এসব ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি পরিবারের সদস্যদের নানান অনৈতিক, অবৈধ সুবিধা দিয়েছে যা এখন তদন্তের মুখে পড়েছে। তার বড় মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন কক্সবাজারে, সেখানে তার মেয়ের স্বামী পৌষী নামক বিখ্যাত খাবারের হোটেলের জায়গার মালিক, একসময় কলেজের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বিএনপির এমপি নমিনেশনও চেয়েছিলেন।
সোলায়মান চৌধুরী সিটি কর্পোরেশনে পোস্টিংএর সুবাদে তার বড় ছেলে কামাল সাহেব এক সময় ছিলেন সিটি কর্পোরেশন এর বড় ঠিকাদার। এখন টাকা হয়েছে, তাই অন্য ব্যবসা করেন। মেঝ ছেলে নজরুল এখন চাকরি করলেও আগে ছিলেন যমুনা ওয়েলে। ছোট ছেলে পড়াশোনা করে নি তাই ব্যবসা বাণিজ্য করে চলেন।
সোলায়মান চৌধুরী তার প্রিয় ছোট শালীকে তিনি বিয়ে দিয়েছিলেন চকরিয়ায়। তার সেই ভাইরাভাই ও ঘোর জামায়াত, তিনি আল আরাফা ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি এতোই ভাল মানুষ যে, নারী নির্যাতন মামলায় পলাতক ছিলেন।
অভিযোগ আছে যে, যারা এস আলমের বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি দেয়ার নাম করে মানুষ জন থেকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা মেরে দিয়ে লাপাত্তা এবং চাকুরিচ্যুত হন, তাদের সবার অভিভাবক হচ্ছেন আলোচিত এই সোলায়মান চৌধুরী।
গুলেন মুভমেন্টের আদলে বাংলাদেশে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকারী ও পরিকল্পনাকারী হিসেবে রাষ্ট্রবিরোধী মামলার আসামী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও দিগন্ত টিভির ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মজিবুর রহমান মনজুর উদ্যোগে গত ২ মে ২০২০ তারিখে সোলায়মান চৌধুরীকে প্রধান করে ‘আমরা বাংলাদেশ পার্টি’ নামে দল গঠন করার পর থেকেই সোলায়মান চৌধুরীর পরিবারের বাকী সদস্যদের নানা অপকর্মের কাহিনী বিভিন্ন মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। প্রতিদিনই সোলায়মান চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের অপকর্মের নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বাংলা ইনসাডার