মঙ্গলবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
প্রচ্ছদদেশজুড়েডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে শোক দিবসের আলোচনা সভা

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে শোক দিবসের আলোচনা সভা

ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার বর্গেও ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিক হয়েছে। ২৬ আগস্ট,২০১৯ বেলা ১১টায় কলেজটির লেকচার গ্যালারী ২ এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব ও ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ।IMG_9234

অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির প্রত্যয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ করেছিলেন।ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে তৎকালীন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। মানুষের কাছে চলে গেছেন।বঙ্গবন্ধু ছিলেন গরীব অসহায় মানুষের প্রিয়।
বর্তমান ডিজিটাল ও উন্নয়নশীল বাংলাদেশের সূত্রপাত বঙ্গবন্ধুর হাতে হয়েছিল উল্লেখ করে স্বাচিপ মহাসচিব বলেন, আজ আমরা বাংলাদেশ মহাকাশযান আকাশে উঠেয়েছি। যার ভিত্তি বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেই বেত বুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র উদ্ধোধনের মধ্য দিয়ে শুর হয়েছিল।
তিনি বলেন,স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়নের ধারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন।স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ দিয়ে স্বাস্থ্য সেক্টরেরও উন্নয়নের যাত্রা শুরু করেছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশ রত্ম শেখ হাসিনা পিতার মতই জাতীয় স্বাস্থ্যখাতকে আন্তর্জাতিক মানের করার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে দেশে চারটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। পা শাপাশি বিশ্বের সর্ববৃহৎ শেখ হাসিনা বার্ন হসপিটাল বঙ্গবন্ধুর কন্যার সরকার করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়শীল বিশ্বের তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। বঙ্গবšধু বেঁচে থাকলে তা আরো বহু আগেই হতো।

১৫ আগস্টকে সারা বিশ্বের জঘণ্যতম হত্যাকা- আখ্যা দিয়ে স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা . এমএ আজিজ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জগণ্যতম রাজনৈতিক হত্যাকা- ঘটেছে। কিন্তু কোথাও শিশু বা নারীকে রাজনৈতিকভাবে হত্যা কা- করা হয় নি। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই এরকম পৈচাশিক হত্যা কা- ঘটিছে খুনী চক্র।ওদিন বৃদ্ধ থেকে শুরু করে গর্ববতী মায়েরাও মৃত্যুর হাত থেকে রেহায় পাই নি। এটি একটি আন্তুর্জাতিক ষড়যন্ত্র। দেশী ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলে উদ্দেশ্য হাছিল হবে । কিন্তু তা হতে দেওয়া হয় নি।

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করে অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মূল পরিকল্পনাকারীদের মধ্য জিয়া ছিল অন্যতম। তাঁর বিচার হওয়া দরকার, মরণোত্তর ফাঁিসর দাবি করছি। দেশের প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা না হওয়ায় নতুন আইন করে জিয়ার বিচার করতে হবে। খুনী জিয়া মোসÍকরা বাঙালীদের শত্রু ছিলেন। জিয়ার মত অনেকেই মারা গেছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর হত্যার রহস্য পুরো উদঘাটনে জিয়ার কর্মকা- পর্যবেক্ষণ করে মরণোত্তর বিচার কাজ শুরু করতে হবে।

আলোচনা সভায় কলেজটির উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ফারুকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফএম শাখাওয়াত হোসেন, সার্জারী বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. একেএম রুহুল আমীন, ডেন্টাল বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রদীপ কুমুর দেবনাথ, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. খোদেজা নাহার প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ