শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়বিকাশের মাধ্যমে বীমা দাবি পরিশোধ করছে বীমা কর্পোরেশন

বিকাশের মাধ্যমে বীমা দাবি পরিশোধ করছে বীমা কর্পোরেশন

bkash- bimaমোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবা বিকাশের মাধ্যমে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। বীমা কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজ করণের অংশ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটি এই প্রথম প্রকল্পের ষষ্ঠ পাইলটিংয়ের আওতায় উত্থাপিত বীমা দাবি বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে। সোমবার রাজধানীর মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে এর উদ্বোধন করেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান, প্রকল্প পরিচালক ওয়াসিফুল হক এবং বিকাশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষি-অর্থনীতিসহ বাংলাদেশের কৃষকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনের লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অনুদানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা কর্পোরেশন (এসবিসি) ও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) কর্তৃক রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি নতুন প্রায়োগিক ধারণা।

তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত আবহাওয়াজনিত তথ্য উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এ বীমা পলিসি প্রস্তুত করা হয় এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই বীমা দাবী পরিশোধ করা হয়। ভারত, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল কৃষিপ্রধান দেশে ইতোমধ্যে এই বীমা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। আমরা আশা করবো ভোগান্তি ছাড়াই কৃষকরা ঘরে বসেই বীমা দাবি পাবেন। শুধু শস্য বীমা নয়, অন্য বীমা দাবিগুলোও দ্রুত পরিশোধের জন্য আমরা মোবাইল ব্যাংকিং পরিসেবা ব্যবহার করে বীমা সেবাকে সাধারণ মানুষের কাছে নিয়ে যাব।

সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমার মাধ্যমে জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি হ্রাস করা। প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পভুক্ত জেলায় মোট ২০টি স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে, বিভিন্ন পাইলটিং এর আওতায় ৯৬৪১ জন কৃষকের অনুকূলে অতিবৃষ্টিপাতজনিত বন্যা, খরা, ঘুর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টিজনিত ঝুঁকি আবরিত করে আবহাওয়া সূচক-ভিত্তিক পরীক্ষামূলক শস্য বীমা পলিসি ইস্যু করা হয়েছে এবং উক্ত বীমা পলিসির বিপরীতে উত্থাপিত মোট ৬৭,৫৪,৮২৯ টাকার বীমা দাবী পরিশোধ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রকল্পের ৬ষ্ঠ পাইলটিং এর আওতায় প্রকল্পভুক্ত তিনটি জেলায় বোরো ধানের বিপরীতে ২ হাজার জন কৃষকের নিকট আবহাওয়া সূচকভিত্তিক শস্য বীমা পলিসি ইস্যু করা হয়েছে। উক্ত পলিসিসমূহের বিপরীতে মোট ১৪ লাখ ৮ হাজার ৬৭৫ টাকা বীমা দাবী উত্থাপিত হয়েছে। প্রথম দফায় ৯৯২ জন বীমাগ্রহীতা কৃষকের মধ্যে বীমা দাবি মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ