শনিবার, মে ১৮, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসেন্টমার্টিন সারা বছর যেতে পারবেন পর্যটকরা

সেন্টমার্টিন সারা বছর যেতে পারবেন পর্যটকরা

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন আকর্ষণীয় করতে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনে সি-প্লেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাতে করে বছরের ১২ মাসই পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারে। তবে পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় সীমিত পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করতে পারবে। এজন্য সব পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সময় সংবাদকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার। santmartin

তিনি বলেন, আগে বছরে ৪-৫ মাস (পর্যটন মৌসুমে) সেন্টমার্টিনে যাওয়া যেত। এখন সরকার যদি সি-প্লেন ও ক্রুজ চালু করে সারাবছরে সেন্টমার্টিন যেতে পারবে। সীমিত করুক, সারাবছর তো সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে, তাতে কোন অসুবিধা হবে না।

কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, অপরিকল্পিতভাবে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে সেন্টমার্টিন দ্বীপটা আস্তে আস্তে দেবে যাচ্ছে। এজন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দ্বীপকে রক্ষায় জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একটা গেজেট বের করেছি। ভবিষ্যতে আর সেন্টমার্টিনে দ্বীপে স্থাপনা নির্মাণ করতে দেয়া হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান দ্বীপে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের জন্য কোন ধরনের স্থাপনা করবে না।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের জন্য মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে। সেন্টমার্টিনে কিভাবে পরিবেশবান্ধব স্থাপনা করা যায়, পর্যটকদের জন্য কীভাবে ভালো বিনোদনের ব্যবস্থা করা যায় এবং টেকসহ পদ্ধতিতে কিভাবে অন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারি; এ জন্য পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে। মালদ্বীপের রিসোর্ট গ্রুপগুলো সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তাদের কাছ থেকে কারিগরি পরামর্শ নিয়ে সেন্টমার্টিনও কীভাবে সাজানো যায় তারও চেষ্টা করা হচ্ছে।

সেন্টমার্টিনে পরিবেশগত ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, যেভাবে পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে গিয়ে যত্রতত্র ময়লা-আর্বজনা ফেলা, পরিবেশ নষ্ট করা, রাতের বেলা আলোকিত করে গান-বাজনা করছে। এতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন তো হারিয়ে যেতে পারে বা সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যাবে। ছোট্ট একটা উদাহারণ হলো দ্বীপে যে কাছিম ডিম পাড়তে আসে, এতে কাছিম তো পানিকে পরিষ্কার জন্য কাজ করে। একেকটা কাছিম কিন্তু শতবছর ধরে বাঁচে। এসব কাছিম কিন্তু যেখানে মানুষজনের যাতায়াত কম, শব্দ বা আলো কম সেখানে বসবাস করে। সেন্টমার্টিনে পর্যটকের আগমন বেশি, গান-বাজনা, দ্বীপে রাতের বেলা আলো জ্বালানো কারণে কিন্তু কাছিম আর অবস্থান করছে না। একটা কাছিমের দাম যদি ১ কোটি বা ২ কোটি টাকা ধরা হয় তাহলে কয়েক’শ কোটি টাকা আমাদের লোকসান হচ্ছে। যার জন্য সেন্টমার্টিনে দ্বীপে পর্যটকের গমন সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে। যার জন্য সরকার এ উদ্যোগটা নিয়েছে পর্যটকদের রেজিস্ট্রেশন করে সেন্টমার্টিনে যেতে হবে। যাতে করে সীমিত সংখ্যক পর্যটক পর্যটন মৌসুমে সেন্টমার্টিনে যেতে পারে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ