শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদটপপাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ বিধিসম্মত হয়নি : হাইকোর্ট

পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ বিধিসম্মত হয়নি : হাইকোর্ট

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ শিক্ষার্থীকে এক বছরের বহিষ্কারাদেশ বিধিসম্মত হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। এসময় আবেদনকারীর কাছে ইবি প্রশাসনের নেয়া ব্যবস্থা লিখিত চান আদালত। বুধবার (১৯ জুলাই) বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ পরবর্তী আদেশের জন্য ২৬ জুলাই দিন ধার্য করেন। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশের পর গত ৬ মার্চ অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এরপর ‘কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না’ এ মর্মে সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইবি’র দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরার নেতৃত্বে কয়েকজন সহযোগীর দ্বারা এক নবীন ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে শারীরিকভাবে নির্যাতন এবং সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে নেটে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

রিটকারী আইনজীবী গাজী মো. মহসিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের যথোপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন। কিন্তু আমি আদালতে বলেছি যে, শাস্তি যথেষ্ট হয়নি। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বলা আছে, ভাইস চ্যান্সেলর প্রথমে শাস্তি দেবেন- ৫০০ টাকা জরিমানা এবং ১২ মাসের জন্য বহিষ্কার। যদি ভিসি মনে করেন, অপরাধের তুলনায় শাস্তি পর্যাপ্ত না তাহলে তিনি ডিসিপ্লিনারি কমিটিতে পাঠাবেন। কিন্তু ভিসি নিজে শাস্তি না দিয়ে সরাসরি ডিসিপ্লিনারি কমিটির মাধ্যমে শাস্তি দেয়ানোর কারণে আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে। আমি আদালতে বলেছি, এটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দলীয় বিবেচনায় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করেছে, যাতে অভিযুক্তরা এই বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিলে এই শাস্তি অকার্যকর হয়ে যায়। আদালত আমার বক্তব্য শুনেছেন।

তিনি বলেন, হল কর্তৃপক্ষের যারা সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই আদেশে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ